শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিজয় ছিনিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম খান পতিত আ’লীগ সরকারের কবল থেকে ভিক্ষুকরাও রেহাই পায় নাই : ডা. শফিকুর রহমান জাতির মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই : তারেক রহমান ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা: সাবেক ডিসি মশিউর সাত দিনের রিমান্ডে ভারতে ‘অবৈধ’ শেখ হাসিনা, এখন কী পদক্ষেপ নেবে ভারত দেশবাসী তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে ফোন নম্বর মুখস্থ থাকাই কাল হলো তোফাজ্জলের? আরও কিছু সংস্কার কমিশন করার পরিকল্পনা আছে : নাহিদ মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনার নিযুক্ত খতিব রুহুল আমিনের পলায়ন আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া দেশের জন্য অশনিসংকেত: অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

সংক্রমণ আরও খানিকটা কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১

সংক্রমণ আরও খানিকটা কমে গেলে বড় ঝুঁকি না থাকলেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের পরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে। আর সংক্রমণ কত নিচে নামলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে, এর জন্য বিশেষজ্ঞ মতামতের অপেক্ষা করছি। আগামী সপ্তাহে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বসবো।’ গতকাল শুক্রবার (২৭ আগস্ট) গাজীপুরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডা. দীপু মনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আলাপ আলোচনা করছি, অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছি। গতকালই মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সব বিশেষজ্ঞ, টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি, স্বাস্থ্য অধিদফতর, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সঙ্গে কথা হয়েছে। গতকাল একটি যৌথসভা হয়েছে। কী করে আগামী এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের যারা ১৮ বছরের বেশি বয়সী, যাদের টিকা দেওয়া যাবে, তাদের টিকা দেওয়া শেষ করা যায় তা দেখতে হবে। যেহেতু টিকা দেওয়ার পর আরও সপ্তাহ দুয়েক লাগে ইমিউনিটি বাড়াতে। অর্থাৎ অক্টোবরের মাঝামাঝির পর আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে পারবো।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আর স্কুলগুলো খোলার জন্য বিজ্ঞানসম্মতভাবে বলা হয়, সংক্রমণ শতকরা ৫ ভাগ বা তার নিচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যায়। কিন্তু আমাদের এখানে অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ বসবাস আর শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়িতেও স্বল্প পরিসরে অনেকের সঙ্গে বসবাস করছেন। তারপর দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে, তাদের স্বাস্থ্যের সঙ্গে মানসিক বিষয়সহ নানা বিষয়ে সমস্যা আছে। আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সঙ্গে সামনের সপ্তাহেই বসবো। এখনও সংক্রমণ ১৩/১৪-তে আছে, ঠিক কততে নামলে, কতভাগে নামলে বড় ঝুঁকি না নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো, এটা বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সেই পর্যায়ে নেমে আসার জন্য অপেক্ষা করবো।’
শিক্ষার্থীদের অনলাইন গেমের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইলের গেমস তো প্রযুক্তির সঙ্গে ভালো কিছু থাকে, মন্দ কিছুও থাকে। এটা শুধু এই সময়ের জন্য নয়, মোবাইল ফোন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষকরাও যেমন দেখবেন, তবে বড় একটি সময় তো শিক্ষার্থীরা বাড়িতে কাটান, সেখানে বাবা-মায়ের তদারকিটা খুব জরুরি। মোবাইল বা অন্য ডিভাইসের মাধ্যমে পড়াশোনাটা এখন বাস্তবতা। এটাকেও মেনে নিতে হবে। শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেও অনলাইন পদ্ধতিও থাকবে। কাজেই এটি এমন নয় শ্রেণিকক্ষে চলে গেলেই আর কোনও ডিভাইসের ব্যবহার থাকবে না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসছে, সেখানে ডিজিটাল লার্নিং তো আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েই যাবে। কাজেই ডিজিটাল ডিভাইসের যেমন নেতিবাচক দিক আছে, তা থেকে কী করে তাদের মুক্ত রাখবো, সে দায়িত্ব যেমন শিক্ষকদের রয়েছে, তেমনি অভিভাবকদেরও একটি বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকুক বা না থাকুক, সে দায়িত্ব অভিভাবকদের পালন করতেই হবে।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com