এই প্রথম নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় হলুদ তরমুজের চাষ করা হয়েছে। হলুদ তরমুজে ছেয়ে গেছে পুরো ক্ষেত। তরমুজের এই নতুন ফলন দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ, কেউ পরিবারের জন্য কিনে নিচ্ছেন এই রসালো ফলটি। আবার কেউ শুধু ক্ষেতের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান দিচ্ছে কৃষক মিস্টুর হলুদ তরমুজ চাষের খবর।
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার তমরদ্দি ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে কৃষক মো. মিস্টু হলুদ রঙের তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। নিজের বাড়ির সামনে প্রায় ৫০ শতক জমিতে কৃষক মিস্টু হলুদ তরমুজের চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। উপরে হলুদ ভিতরে লাল খেতে সুস্বাদু তরমুজগুলোর বাজার চাহিদা অনেক বেশী হওয়ায় চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
এক সময়ের পাওয়ার টিলার চালক মিস্টু বাসসকে জানান, চালক থাকা অবস্থায় তাকে অনেকবার যশোর যেতে হয়েছে। সেখানে সে দেখে এসেছে হলুদ রঙের (গ্রীণ ডায়মন্ড) এই তরমুজ চাষ। এরপর যশোর থেকে চারা এনে চলতি মৌসুমে হাতিয়ায় প্রথম এই হলুদ তরমুজের চাষ শুরু করেন। তার দেখাদেখি এখন পাশর্^বর্তী অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছেন এই তরমুজ চাষে। আগামীতে এক একর জমিতে এই তরমুজ চাষ করার ইচ্ছা রযেছে কৃষক মিস্টু’র।
জোড়খালী গ্রামের ক্ষেতের পাশে বাড়ির দরজার উপর হলুদ তরমুজের স্তুপ সামনে রেখে দাঁড়িয়ে আছেন অনেকে। এদের মধ্যে কয়েকজন তরমুজ ব্যাপারী হলেও অন্যরা এসেছেন দেখতে। কেউ-কেউ বাহারি ধরনের এই তরমুজ হাতে নিয়ে তুলছেন ছবি। ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
অন্যান্য রঙের তরমুজের চেয়েও হলুদ রঙের তরমুজগুলো দেখতে সুন্দর, খেতে সুস্বাদু হওয়ায় এর বাজার মূল্যও বেশী। দুই কেজি ওজনের একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। ব্যাপারীরা ক্ষেত থেকে পরিমাপ করে নিয়ে যাচ্ছেন তরমুজ। বাজারে নেয়ার পরপরই হুমড়ি খেয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ জসিম উদ্দন জানান, স্থানীয় কৃষক মিস্টু হলুদ তরমুজ চাষে এই অঞ্চলে নতুন গল্পের সূচনা করলেন। আমরা তার সঙ্গে আছি। এ ব্যাপারে তাকে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমাদের কর্মীরা প্রতিনিয়ত তার সাথে যোগাযোগ রাখছেন।