সরকারের কাছে দালাল দিয়ে পাসপোর্ট করানোর অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। দালালকে ‘এজেন্ট’ স্বীকৃতি দিয়ে তাদের দিয়ে পাসপোর্ট করানোর পরিকল্পনা নিয়ে এই চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। তাদের ভাষ্য, পাসপোর্ট অধিদফতরের অতিরিক্ত চাপ কমাতে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তারা। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অনুমতি চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। সরকারকে চিঠিতে সংস্থাটি জানায়, অনেকে পাসপোর্টের আবেদনের নিয়ম জানে না। ঠিকমতো নাম ঠিকানা লিখতে পারে না। ত্রুটিপূর্ণ আবেদনপত্র নিয়ে এসে হয়রানির শিকার হয়। আবার দালালরাও এ সুযোগে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। তাই এ হয়রানি থেকে মুক্তির জন্য দালালদের মধ্য থেকে যোগ্যদের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করতে চায় অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে এজেন্টদের যোগ্যতা নির্ধারণসহ একটি বিধিমালা করা হবে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর স্থানীয় দালাল ছাড়াও ট্রাভেল এজেন্সিকে পাসপোর্টের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে। চিঠিতে আরো জানানো হয়, এজেন্টের মাধ্যমে পাসপোর্টের ফরম পূরণ ও আবেদন করতে সরকারি ফি’র বাইরে গ্রাহকের অতিরিক্ত টাকা খরচ হতে পারে। খরচটি চূড়ান্ত না হলেও সেটি অবশ্যই সরকারি ফি’র ১০ শতাংশের কম হবে। সম্প্রতি দালালদের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদফতর দিয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোকাব্বির হোসেন।
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, সচিব বলেছেন- পাসপোর্ট আবেদনকারী অনেকেই নিজের ফর্ম নিজে পূরণ করতে পারেন না, তার সাহায্য লাগে। অনেকে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতেও পারে না। তখন দালালদের প্রয়োজন হয় তাদের। কিন্তু এখনো পর্যন্ত লিগ্যালি কেউ কাজটা করে না। এখন যাতে তারা আইনসিদ্ধভাবে কাজটি করতে পারে সেজন্য বৈধতা দেয়ার এ প্রক্রিয়া নেয়া হয়েছে। জমিজমা ও সম্পত্তির দলিল লেখকদের উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, পাসপোর্টের ক্ষেত্রেও যেহেতু বড় অংশের মানুষের এই সাহায্য প্রয়োজন হচ্ছে, সে কারণে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।