বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ ও সম্মেলনের নির্দেশনা দেওয়ার ১ মাস পর আলীকদম উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা হলেও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ তড়িগড়ি করে আলীকদম সদর ও চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের পুরাতনদের সরিয়ে দিয়ে নিজেদের মনোনীত ব্যক্তিকে নতুন সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক করা ও নয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের চেষ্টা করছে আলীকদম উপজেলা ছাত্রলীগ এমনটায় অভিযোগ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সম্মেলনের আগে তড়িঘড়ি এমন সিন্ধান্তকে অভিনব কৌশলে সম্মেলনে নিজেদের মনোনীতদের বিপক্ষে থাকা প্রার্থীকে আটকানোর চেষ্টা ও বিষয়টিকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা বলে অভিযোগ তুলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। উপজেলা ছাত্রলীগের সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী কফিল উদ্দিন বলেন, এত বছর যেহেতু ছাত্রলীগের ইউনিয়ন কমিটি গুলো করা হয়নি। সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের পর এত তড়িঘড়ি করে কমিটি করার কারণ হল, আমরা যারা প্রার্থী তাদের কোন ভাবে আটকানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।গঠনতন্ত্রে অনেক কিছুই আছে, এতদিন যেহেতু পালন করা হয়নি, কেন এখন কমিটির সংযোগ ও বিয়োজনের ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের দোহাই দেওয়া হচ্ছে। আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী মোঃ জাবেদ হোসেন রুবেল বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি হওয়ার পরে ইউনিয়ন কমিটি করার চেয়ে সবার সমন্বয়ে সম্মেলন সফল করায় একমাত্র লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন। এতদিন করা হয়নি যেহেতু কমিটি গুলো এখন না করলে সমস্যা হওয়ার কথা না। নতুন যারা আসবে তারা নিজেরাই সবার সমন্বয়ে কমিটি গুলো করে নিতে পারে। উপজেলা ছাত্রলীগের সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, নিজেদের মনোনীতদের বসাতে এমন পথে হাঁটছেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতারা। জেলা ছাত্রলীগ সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করার পর আর কোন কমিটি বিলুপ্ত বা গঠন করা উচিত নয়। কাউকে বিশেষ কোন সুবিধা দিতে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এবিষয়ে করণীয় কি জেলা ছাত্রলীগ সঠিক সিন্ধান্ত নেবে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌরভ পাল ডালিম বলেন, সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোন দায়িত্বে নেই। তারা চাইলে এখনও কমিটি গঠন ও বিলুপ্ত করতে পারে, তাতে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী নয়। জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও উপজেলায় দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা মোস্তাফা জামান রাশেদ বলেন, বিষয়টি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবগত করা হয়েছে এবং উনারা নির্দেশনা দিয়েছেন কোন কমিটি বাতিল ও পূর্ণ গঠন থেকে উপজেলা ছাত্রলীগকে বিরত থাকতে। উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন সফল করতে কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের পর উপজেলা ছাত্রলীগ ইউনিয়ন কমিটি গুলো গঠন করতে পারবে না, এটি প্রশ্ন তৈরি করতে পারে। তাই বিতর্ক এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউসার সোহাগ জানান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে নেই, তাই কমিটি অনুমোদন বা ভাঙতে পারে। আপনারা জেলা থেকে সম্মেলনের তারিখ দিয়েছেন, পরে উপজেলা ছাত্রলীগ সময় নিয়েছে ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করেছে, এর মধ্যেই সম্মেলনের আগমুহূর্তে কমিটি গঠন বা অনুমোদনের মাধ্যমে কি কাউকে বিশেষ কোন সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা কিনা জানতে চাইলে কাউসার সোহাগ বলেন, আলীকদম উপজেলা ছাত্রলীগকে শুধু সম্মেলন সফল করতে বলা হয়েছে। কাউকে সুযোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। সম্মেলনের সামনে রেখে কোন কমিটি সংযোজন ও বিয়োজন না করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। যদি তা, অমান্য করলে জেলা ছাত্রলীগ এবিষয়ে সিন্ধান্ত নেবে।