আসন্ন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ৩ নেতা। গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রার্থীরা ধানমন্ডি দলীয় কার্যালয় থেকে এ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। উপ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা আওয়ামীলীগের ৭ জন নেতা দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রার্থী হয়েছেন। ইত্যিমধ্যে তারা নির্বাচনী প্রচারনায় কেউ কেউ মাঠে নেমে পরেছেন। এদের মধ্যে মোশারফ হোসেনের ছোট ভাই মনির হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুর ইসলাম নান্নু ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আগামীকাল মাহফুজুর রহমান কালাম ও মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যার মোশারফ হোসেনের মৃত্যুর পর এ আসনটি শুন্য ঘোষনা করা হয়। গত ২রা সেপ্টেম্বর উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিলে আগামী ১৩ তারিখে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ঘোষনা দেন। ফলে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন নৌকার প্রতিক মনোনয়ন প্রার্থী নেতারা। পারিবারিক ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছোট ভাই দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ী মনির হোসেন। তিনি সোনারগাঁওয়ের রাজনীতির সাথে পারিবারিক ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময় মরহুম আবুল হাসনাত ও মরহুম মোশারফ হোসেনের সাথে মোটামোটি ভাবে সোনারগাঁওয়ের আওয়ামী রাজনীতির সাথে কাজ করেছেন। ব্যবসায়ী মনির হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং বিজয়ী হলে সোনারগাঁও আওয়ামীলীগকে একসাথে করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে কাজ করে যাবেন। এদিকে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম সোনারগাঁওয়ে মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী রাজনীতিতে একটি পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেও তিনি তিন তিন বার সোনারগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে মোশারফ চেয়ারম্যানের কাছে পরাজিত হয়েছেন। বর্তমানেও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন। গত উপজেলা নির্বাচনে মাহফুজুর রহমান কালাম নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলীয় ভাবে শোকজ হয়েছেন। তারপরেও তিনি আওয়ামী রাজনীতি থেকে সরে যাননি। অপরদিকে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম নান্নু দলীয় ভাবে মনোয়ন পত্র সংগ্রহ করে নির্বাচনী প্রচারে জোড়ে সোরে নেমেছেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন। সোনারগাঁওয়ের ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় তার নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে যুবলীগ কমিটি সংক্রীয় ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কয়েক মাস আগে হেফাজত কান্ডে রফিকুল ইসলাম নান্নুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তার বাড়িঘরে তান্ডব চালিয়ে গাড়ি ও বাড়িতে ব্যাপক ভাবে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। কয়েক কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে। তারপরেও রফিকুল ইসলাম নান্নু আওয়ামী রাজনীতি থেকে পিছপা হননি। হেফাজতের তান্ডবের পরে তাকে সান্তনা দিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, সাবেক দফতর সম্পাদক মৃনালকান্তী, ঢাকা বিভাগীয় এনডিসি, নারায়ণগঞ্জের ৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানসহ কেন্দ্রী নেতুবৃন্দ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তার ক্ষয়ক্ষতি স্বচক্ষে দেখেছেন। বর্তমানে রফিকুল ইসলাম নান্নু সোনারগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে দলীয় ভাবে প্রার্থীতা ঘোষনা করেন। কে হচ্ছেন আগামী দিনের সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তা দেখতে প্রহর গুনছেন সোনারগাঁওয়ের সাধারণ জনগণ। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, আমি দলীয় ভাবে নৌকা প্রতীক পেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো বলে আমার বিশ্বাস।