নওগাঁয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই প্রতিযোগিতা দেখতে বিভিন্ন হাজার হাজার নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, কিশোর-কিশোরী ভীড় করেন। সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের গোয়ালী বিলে ১৬তম এই নৌকা বাইচের আয়োজন করে গুমারদহ এলাকাবাসী। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা দেখতে আসে হাজার হাজার বিনোদন প্রেমীরা। বাইচের নৌকার বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর মাঝি মাল্লাদের নাচ গানে মুখরিত গোয়ালী বিল। বিলে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চারিদিকে পানি থৈ থৈ করছে। অন্যদিকে, করোনাভাইরাসে দীর্ঘ দিনের লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে বিনোদন পেতে এই নৌকা বাইচ দেখতে এসেছে। দীর্ঘদিন পর নৌকা বাইচ দেখতে শিশু কিশোর, যুবক যুবতী এবং বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সীরা নৌকা, বাড়ির ছাদে, রাস্তায়সহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিনোদন উপভোগ করেছেন। প্রচুর পরিমাণ বিনোদন প্রেমীদের দেখে প্রতিযোগীদের মধ্যেও আনন্দ আরও বেড়েছে। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন এলাকার ৮টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। নৌকা বাইচ দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, লকডাউনে কোথাও এমন ছিল না। বিনোদন কেন্দ্রগুলোও ছিল বন্ধ। এই বিলে গ্রাম বাংলার এমন নৌকা বাইচ দেখতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে। আমরা এই নৌকা বাইচ দেখেও খুবই আনন্দ পেয়েছি। আয়োজকরা জানান, গ্রামীণ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এবং মানুষকে আনন্দ দিতেই প্রতি বছরের ন্যায় এবারো এই নৌকা বাচের আয়োজান করা হয়। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ আরো আকর্ষণ হয়ে উঠবে। আবহমান গ্রাম-বাংলার কৃষ্টি ধরে রাখতে এভাবে প্রতিবছরই এখানে নৌকাবাইচের আয়োজন হবে বলে জানান তারা। এসময় প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন বলেন, নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছি। বহু মানুষ নৌকা বাইচ দেখতে এসেছেন। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দেখে সত্যি খুব আনন্দিত হয়েছি। নৌকা মার্কা আওয়া মীলীগের জাতীয় প্রতিক। নৌকা আমার ঐতিহ্য, নৌকা আমার অহংকার।