জেলার লোহাগড়ার উপজেলার ইছামতি বিল এখন মিনি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।বিশাল আয়তনের এ বিলের টলমলে পানিতে ফুটে আছে বাহারি রঙের হাজারো পদ্ম। ফোটার অপেক্ষায় আছে আরো অসংখ্য পদ্মফুল। পদ্মের গোলাপী চাদরে ঢেকে গেছে পানি। আবার পদ্মের মাঝে বসেই দেখা যাচ্ছে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য। এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে লোহাগড়া উপজেলার নলদী ও লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ইছামতি বিলে। পদ্মফুটা বিলের এ সৌন্দর্য ও সৌরভ উপভোগ করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে প্রতিদিন আসছেন শত শত নারী,পুরুষ ও শিশু।দর্শনার্থীদের আগমনে ইছামতি বিল এখন মিনি পযর্টনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
ইছামতি বিলে ঘুরে আসা নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের বিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফাহিম শাহরিয়ার খান, ও ঢাকার বেসরকারি প্রেসিডেন্সী ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রেজওয়ান বলেন, এ বিলের পদ্মফুল দেখে অনেক আনন্দ পেয়েছি। এখানের পদ্মফুল দর্শনার্থীদের জন্য অন্যরকম শোভা বিছিয়ে রেখেছে। বিলের মধ্যে নৌকায় ঘুরে পদ্মফুলের সৌন্দর্য দেখা যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। বারবার এখানে আসতে চাই। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীদের এ বিলে ঘোরার একমাত্র ভরসা স্থানীয় জেলেদের নৌকা। পুরো পদ্মবিল ঘুরে দেখতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে। নৌকায় ঘুরতে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা ভাড়া লাগে।
নৌকার মাঝি বিপ্লব বলেন, এ বিলের পদ্মফুল দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। নৌকায় দর্শনার্থীদের নিয়ে ভালো টাকা আয় হচ্ছে। রাতে বিলে মাছ ধরি আর দিনভর দর্শকদের নিয়ে বিলে যাই।
নলদী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ পাখি বলেন, ইছামতি বিল এখন জেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিগণিত হযেছে। এ বিলে ফোটা পদ্মফুল এলাকার মানুষের জন্য আশির্বাদ হয়ে উঠেছে। এখানে বিভিন্ন জেলার মানুষ ঘুরতে আসেন। নড়াইল শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে লোহাগড়া উপজেলার মিঠাপুর-লাহুড়িয়া সড়কের পাশেই বিল ইছামতি।