রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন

সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাসস :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ যে কোন জাতীয় প্রয়োজনে এই বাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ^াস করি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় যে কোন প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্ট এর নিকট নতুন পতাকা হস্তান্তর এবং সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিটকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে একথা বলেন। তিনি গতকাল বুধবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। সরকার প্রধান বলেন, ‘অপারেশন কভিড শিল্ড’ এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সদস্যগণ করোনা প্রতিরোধকল্পে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে সম্মান ও মর্যাদা। যা বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।
অনুষ্ঠানের শেষে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনাপ্রধান আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুলে ৪, ১২ ও ২০ ফিল্ড, ৫ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫ ও ৭ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১ ও ২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ এবং এনসিও একাডেমিকে জাতীয় পতাকা প্রদান এবং মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্টকে আর্টিলারির নতুন পতাকা প্রদান করেন। অনুষ্ঠান থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালামও জানানো হয়।
৩২
সরকার সা¤প্রদায়িক হামলা ঘটিয়ে বিএনপির নাম জড়াচ্ছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুর্গাপূজার সময়ে দেশে হিন্দু স¤প্রদায়ের পূজাম-পে ও মন্দিরে যে হামলা হয়েছে তা সরকারই পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে। তার অভিযোগ নির্বাচনের আগেই এসব ঘটনার মাধ্যমে দায়ের করা মামলায় সারাদেশে তার দলের নেতাকর্মীদের শাস্তি দিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার।
প্রত্যেকটি ঘটনাই সরকার বা সরকারি দলের ইন্ধনে হয়েছে। এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে গ্রেফতার বাণিজ্য করার জন্য,’ বলছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়াদীঘিতে একটি পূজাম-পে কুরআন পাওয়ার পর দেশজুড়ে প্রায় ষোলটি জেলায় হিন্দু স¤প্রদায়ের পূজাম-পে ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের হিসেবে এসব সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে সাতজন।
ইতোমধ্যেই কুরআন রাখার দায়ে ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, এসব হামলার ঘটনায় ‘কিছু পরিচিত ব্যক্তি’র নাম আসতে শুরু করেছে। বিএনপি বলছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনায় সেখানকার সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বরকত উল্লাহ বুলুসহ অনেক বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে।
মির্জা আলমগীর বলছেন, প্রত্যেকটি ঘটনাতেই সরকারি দলের ইন্ধনে হয়েছে। রংপুরে পীরগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাই ঘটনার সূত্রপাত করেছেন। আর মামলা হলো অনেক বিএনপি নেতাকর্মীর নামে। তিনি বলেন, কুমিল্লাতেও একইভাবে একজন পাগলকে সাজিয়েছে, যা কোনভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। বরং এটা পরিকল্পিত ও এবং সরকারই তা করেছে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্ট করে জনগণের সমস্যা থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য। এখন তারা বরকত উল্লাহ বুলুর নাম জড়িয়েছে যা কারো কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। অথচ ৬ ঘণ্টা তা-ব চালিয়েছে হামলাকারীরা কিন্তু পুলিশ হস্তক্ষেপই করেনি। সবগুলো ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬০ মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৬ জন। ইতোমধ্যে বিএনপির ১৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ২৩টি মামলায় ৭ হাজার ৯৬১ জনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু এ মামলা তো কখনো শেষ হবে না। বরং তাদের উদ্দেশ্য হলো ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি আর গ্রেফতার বাণিজ্য করা। মামলা প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কুমিল্লার ঘটনা ঘটেছে সেখানকার আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের কারণে। আর মামলা হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে। উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন আসার আগেই তালিকা করে বিএনপিকে মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়া।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com