আগামী ১১ নভেম্বর শেরপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউপি নির্বাচন। সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে সরগরম চারদিক। চলছে মাইকিং, পোস্টার সাটানো সহ নানা প্রচারনা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ নং বেতমারি- ঘুঘুরাকান্দি নির্বাচনী এলাকায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। রোববার ১ নভেম্বর ওই এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ নিজ উদ্যেগে বের করে মুড়ি মিছিল। স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন দুলালের সমর্থনে যেখানে অংশগ্রহন করে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার গ্রামবাসী। এ আয়োজনকে ঘিরে রোববার সকাল থেকে ঘুঘুরাকান্দী বাজারে জড় হতে থাকে পুরুষ, মহিলা, বৃদ্ধ, বৃদ্ধাসহ যুবকেরা। মুহুর্তেই মিছিলটি তৈরি হয় জনসমুদ্রে। এবিষয়ে স্থানীয় সমাজ সেবক উজ্জল মিয়া বলেন, মিছিল দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন মুড়ি গুলো চেয়ারম্যান দিয়েছেন। কিন্তু আসন্ন বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দী ইউনিয়ন পরিষদে একমাত্র যোগ্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল। বিগত দিনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকাকালীন সময়ে গরীব মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী মোস্তফা মিয়া বলেন, আমরা যে যা পেয়েছি তা দিয়েই আজকের মুড়ির বস্তা কিনেছি। আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি দুলাল ভাইয়ের আনারাস মার্কার জয় হবে। সমাজসেবক সামেদ আলী বলেন, এই মুড়ি মিছিলে ভ্যান চালক, রিকশা চালক, অটো চালক সকলের টাকা আছে। সবাই খুশি হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলালকে ভালবেসে নিজের কষ্টের টাকা দিয়ে মুড়ির বস্তা কিনেছে। তিনি সত্যিই একজন যোগ্য লোক। ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সায়েদুল ইসলাম বলেন, বিগত তত্বাবধায়ক সরকার আমলেই দুলাল চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নামে অত্র এলাকায় কোন বদনাম নেই। তিনি একজন সৎ ও জনদরদী মানুষ। তাই আমরা পুরো গ্রামবাসী আজ একত্র হয়েছি। যেন আগামী ১১ নভেম্বর তাকে আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়যুক্ত করতে পারি। এব্যাপারে ১৪ নং বেতমারি-ঘুঘুরাকান্দি ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন দুলাল বলেন, আমি আজকের মিছিল সম্পর্কে জানতাম না। হয়তো অনেকে এটাকে নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘন হিসেবে গণ্য করতে পারেন। কিন্তু এই বিষয়ে আমি অবগত নই। আমার নির্বাচনী এলাকার সাধারন ভোটাররা আমাকে ভালবেসে এই মুড়ি মিছিল করেছে। যদি আগামী ১১ তারিখ ভোটগ্রহন সুষ্ঠ হয়। তবে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো।