ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি পরিণত হলো মরীচিকায়। মরুভূমির দেশে বালিয়াড়িতে মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান। নিউজিল্যান্ডের কাছে চরম লজ্জার হারে কাপ-যুদ্ধ থেকে কার্যত বিদায়ই নিলো বিরাট কোহলির দল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে দুরমুশের সপ্তাহখানেক পরেও চিত্রনাট্যে বদল ঘটল না। বরং আরো অপমানিত হওয়াই হয়ে উঠল ভবিতব্য। ১১০ রানের পুঁজি নিয়ে লড়া যায় না। যায়ওনি। ৩৩ বল বাকি থাকতে অনায়াসেই ৮ উইকেটে জিতল কিউয়িরা। অক্ষুণ্ণ থাকল বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের উপর কিউয়িদের দাপটের রেকর্ডও। ভারতের এই পরাজয় সব হিসাব উল্টে দিয়েছে। বিশ্বকাপের আগে ধারণা করা হয়েছিল যে পাকিস্তান, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে যেকোনো দুটি দল যাবে সেমিফাইনালে। পাকিস্তান দুটি বড় ম্যাচে জিতে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে। আর ভারত পরপর দুটি ম্যাচে হেরে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে। নিউজিল্যান্ডের ভালো সম্ভাবনা আছে। তবে সম্ভাবনা বেশি কিন্তু আফগানিস্তানের। তারা এখন পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বর স্থানে আছে। ভারতকে হারাতে পারলেই তাদের সেমি নিশ্চিত হয়ে যাবে। তাছাড়া তাদের সবচেয়ে ভালো দিক হলো রান রেট। তাদের নিট রান রেট পাকিস্তানের চেয়েও বেশি।
তিনটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জিতে থাকা পাকিস্তানের আর ম্যাচ বাকি নামিবিয়া (২ নভেম্বর) ও স্কটল্যান্ডের (৭ নভেম্বর) বিরুদ্ধে। পাকিস্তান সবকটি ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্টে শেষ করবে বলেই ধরে নেয়া যায়।
নিউজিল্যান্ডের খেলা বাকি স্কটল্যান্ড (৩ নভেম্বর), নামিবিয়া (৫ নভেম্বর), আফগানিস্তানের (৭ নভেম্বর) বিরুদ্ধে। নিউজিল্যান্ডের দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট। তারাও শেষ তিনটি ম্যাচ জিতলে আট পয়েন্ট হবে। সে ক্ষেত্রে গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে তারা শেষ চারে যাবে। ভারত ছিটকে যাবে। আফগানিস্তানের তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট। তারা অবশ্য নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের মতো দুটি সহজ দলের বিরুদ্ধে খেলে ফেলেছে। তাদের ম্যাচ বাকি ভারত (৩ নভেম্বর) ও নিউজিল্যান্ডের (৭ নভেম্বর) বিরুদ্ধে। তুলনামূলকভাবে দুটিই কঠিন ম্যাচ। শেষ দুটি ম্যাচে হারলে আফগানিস্তান চার পয়েন্টে থাকবে এবং ছিটকে যাবে। আর জিতলে সব বিশেষজ্ঞের সব বিশ্লেষণ মাঠে মারা যাবে। এখন আফগানিস্তান, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে কোনো দল যদি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়, তবেই ভারতের সামনে শেষ চারে যাওয়ার একটা রাস্তা খুলে যাবে।