বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

এই ঠান্ডাত মোর ছওলটা কেংকা করে থাকবে বা, মোক এটা ঘর করে দি

আবুল বয়ান (ধামইরহাট) নওগাঁ :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১

নওগাঁর ধামইরহাটে জাহানপুর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিকন্দখাস গ্রামে ভাঙ্গা ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন একটি পরিবার। শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার মৃত আজগর আলী মন্ডলের ছেলে মো. মোকলেছ আলী মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত সমস্যার কারণে এখন শয্যাশায়ী। শত বছর বয়সী বৃদ্ধা মা আবেজন বেওয়া শারীরিকভাবে কর্মক্ষম হওয়াই অসুস্থ। মোখলেসের একমাত্র ভরসা তার স্ত্রী মোছা. তহুরা খাতুনের উপর। তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই কেবলমাত্র একটি জরাজীর্ণ মাটির বাড়ি। বাড়িটির একপাশে বর্ষার পানি পড়ে ভেঙে গেছে। স্ত্রী তহুরা খাতুন মানুষের বাসাবাড়িতে কাজকর্ম করেন। তার জমানো টাকায় কোনরকমে টিনের বেড়া দিয়ে একটি ঘরে অসুস্থ স্বামী ও বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। অন্যদিকে ঘরটির চতুর্দিকে ফাঁকা অংশ থাকায় প্রতিদিন সূর্যের আলোয় ঘুম ভাঙ্গে তাদের। চোখে জল টলমল অসুস্থ মোকলেস আলী বলেন, ‘মোর কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে বা.! মুই আর বেশি দিন বাঁচমু না। মোক এটা ঘর করে দিলে অসুস্থ মা বউ বাচ্চাক নিয়ে রাত্রে এনা শান্তিতে ঘুমাতে পারলো হিনি।’ স্ত্রী তহুরা খাতুন ক্ষোভের সাথে বলে, আমার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামীর কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। বাসা বাড়িতে কাজ করে যতটুকু টাকা পাই সংসারের খরচ তো দূরের কথা স্বামী-শাশুড়ির চিকিৎসা খরচে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। তিনি এও বলেন, ঘর নাই রাতে ঘুমাবার জায়গা টুকুও নেই। সকাল হলেই সূর্যের আলোয় ঘুম ভেঙ্গে যায়। একটা ঘরের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে গেলে চেয়ারম্যান খালি আশ্বাস দেয়। এ সময় তিনি আবেগজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসাবে একটি বাড়ির আবেদন করেন। বৃদ্ধা মা আবেজন বিবি বলেন, ‘এই ঠান্ডাত মোর ছওলটা কেংকা করে থাকবে বা, মোক এটা ঘর করে দি।’ জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওসমান আলী বলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি বছর আমরা তিনটি করে ঘর পেয়ে থাকি। এবার নতুন করে ঘর বরাদ্দ পেলে ওই পরিবারকে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গণপতি রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com