বান্দরবানে লামা উপজেলার ৪নং আজিজনগর ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (আনারস প্রতিকে) রশিদ আহমদ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন,লিখিত বক্তব্যে তিনি বহিরাগত লোকজনের প্রভাব বিস্তার, ভোট কারচুপি, জালভোট, কেন্দ্র দখল, কেন্দ্রে ভোট না গণনা, ভোটের ফলাফল ছিনিয়ে নেয়ার জন্য প্রশাসন মেকানিজম সহ নানান অভিযোগের কথা লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে বিচারিক ক্ষমতা সহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, বিজিবি সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ করেন। এবং আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার দাবীতে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় লামা প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরো জানান, আমি আজিজ নগরের একজন নাগরিক হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। নির্বাচন কমিশন দেশের জনগণকে নিশ্চিত করে বলেছে ইউপি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আমি নির্বাচন কমিশনের এই আশ্বাসের উপর বিশ্বাস করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার পর থেকে আমার ও আমার সমর্থকদের উপর আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী নিজে ও তার কর্মী বাহিনী দিয়ে একের পর এক হুমকী এবং ভয় ভীতি প্রদান করে যাচ্ছে। আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত ভাবে বিষয়গুলাে জানিয়ে আসছি। আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রাত্যক্ষ,মদদে তার কর্মী ও সমর্থকেরা আমার নির্বাচনী পােস্টার ছিড়ে ফেলেছে। আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে নির্বাচনের দিন যে কোন ধরনের প্ররিস্থিতি সৃষ্টি করে ফলাফল তার অনূকুলে নিবে। জনগনের উপর তার কোন আস্থা ও বিশ্বাস নাই। আজিজনগর ইউনিয়ন লােহাগাড়া ও চকরিয়া সংলগ্ন । নির্বাচনের দিন পার্শ্ববর্তী লোহাগাড়া ও চকরিয়া উপজেলা হইতে ভাড়াটিয়া লােকজন এনে ২,৩,৫,৬,৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র সমূহে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার জন্য আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী নীল নকশা চূড়ান্ত করেছে বলে তার সমর্থিত কর্মী ও সমর্থকরা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে। বহিরাগত লােকজন এনে আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আজিজনগরে শোডাউন ও উঠান বৈঠক করে যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন ভােট কেন্দ্র দখল করার জন্য বহিরাগত স্বশস্ত্র ক্যাডারদের আজিজনগরের বিভিন্ন কেন্দ্র সমাগম করবে বলে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর লােকজন বলাবলি করছে। বিগত ইউপি নির্বাচনে আমার বর্তমান প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা সে সময়কার দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হামলা চালিয়ে কেন্দ্র দখল করেছে। এ বছরও একই কায়দায় কেন্দ্র দখল করার হুমকি দিয়েছে। আমি সুস্থ্য ভােট গ্রহণের স্বার্থে আজিজনগরে নির্বাচনের দিন বিচারিক ক্ষমতাসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনা বাহিনী , বিজিবি ও দক্ষ পুলিশ বাহিনী নিয়ােগ করার আবেদন জানিয়ে নিবচিন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যে আবেদন জমা দিয়েছি। জাতির বিবেক সাংবাদিক বন্ধুগণ আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আমার কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরছি। আমরা জানতে পেরেছি নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনের ফলাফল তার অনূকুলে নেওয়ার জন্য প্রশাসনিক মেকানিজমে নিজের-পছন্দের লােকদেরকে আজিজনগরের নয়টি কেন্দ্রে প্রিজাইডিংও সহকারী প্রিজাইডিং নিয়ােগ দেওয়ার জন্য একটি তালিকা অতি গােপনে রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিয়েছে। লোকজন ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ ও গ্রহণ করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাইনা। তবে আমাদের সুসষ্ট বক্তব্য হলাে রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন অফিসার যদি অনৈতিক কিছু করতে চান তাহলে জনগণ মেনে নিবে না। এই জন্য যে কোন পরিস্থিতির জন্য রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অফিসারকে দায়-দায?িত্ব বহন করতে হবে। আগামী ১১ নভেম্বর লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।