গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধেরে জেরে প্রতিপক্ষের প্রতিমা ভাংচুর, লুটপাট ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জামারপুর ইউনিয়নের চুপাইর এলাকার বীরেন্দ্র দেব নাথের বাড়িতে। এ ঘটনায় ৭ নভেম্বর বীরেন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ্য করে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন- এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যার নংÑ০৬। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, তবে আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহ রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আফতাব উদ্দিন ও খাইরুল ইসলাম প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন-আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে কাজ করতে গেলে প্রতিপক্ষ গং আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাসানোর জন্য এ ঘটনা ঘটায়। এ বিষয়ে জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. খাইরুল আলম বলেন-ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরির্দশন করি। কে বা কারা এ ঘটনা করেছে জানা নেই। তবে তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন যাবত বীরেন্দ্র দেবনাথের সাথে প্রতিবেশী মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে আফতাব উদ্দিন ও খাইরুল গংদের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শ্রত্রুতা চলে আসছিল। ৭ নভেম্বর সকাল আনুমানিক ১০ টায় আফতার উদ্দিন, খাইরুল ইসলাম, কামরুল শেখ, ইব্রাহীম বাগমার, মানিক, রুস্তম আলী, হরিলাল দেবনাথ, হরিপদ দেবনাথ, প্রফুল্লা দেবনাথ, গাফফার খাঁসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জন দেশী অস্ত্র লাঠি-সোটা নিয়ে জোর পূর্বক মন্দিরের ভেতরে ঢুকে কালী, মহাদেব, জয়া ও বিজয়া প্রতিমা ভাংচুর করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে বীরেন্দ্র দেবনাথের স্ত্রী চয়নিকা দেবনাথ তাদেকে বাধাঁ দিলে ওই আসামীরা তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পরে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ওই আসামীরা ৫৫ বছরে বৃদ্ধা চয়নিকা দেবনাথকে টানা হেচঁড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় তার গলায় থাকা বারো আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ভূক্তভোগী জানান, পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে চুপাইর মৌজার এসএ ও ৪৪৭ ও আর এস ১০৬২-১০৬৫ দাগে ৪৬ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে অসছিলেন। আসামীরা আমাদেরকে বিভিন্ন হুমকি-দামকি দিয়ে আসছে। এমনকি এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপর দিকে থানায় মামলা দায়ের ৬ দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে আসামীরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে বলেও অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।