ঐতিহাসিক মুকুন্দপুর মুক্ত দিবস পালিত, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই দিন বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় সেনাদের সহায়তায় মুকুন্দপুর রেল স্টেশন, আখাউড়া রেল স্টেশন সহ আশেপাশের এলাকা নিজেদের দখলে নেয়। এই রেলপথ গুলো সিলেট থেকে ঢাকার সাথে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল। তাই মুক্তিযোদ্ধারা এসকল এলাকা দখলে নেয়ার কারণে পাক হানাদার বাহিনীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যাহত হয়। ফলে এই এলাকাগুলো শত্রুমুক্ত হয়ে থাকে এবং আমরা পাই স্বাধীন বাংলদেশে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের এক পরম আরাধ্য ফলাফল। প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও মুক্তিযোদ্ধারা ১৯ শে নভেম্বর ঐতিহাসিক মুকুন্দপুর মুক্ত দিবস উদযাপনের আয়োজন করে, উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং উপজেলার পাহাড়পুর ইউপির সেজমুড়া মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের সহায়তায় আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় মুকুন্দপুর মুক্ত দিবস ২০২১ উদযাপিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট (অবঃ) হাজী মো: দবির আহমেদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং সুলতান মাহমুদ সরকারের পরিচালনায় সকাল ১০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হওয়া এই আয়োজন যেন পরিণত হয়েছিলো উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক মহামিলন মেলায়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের সামনে তুলে ধরেন। রূপকথার মতো সেই দৃশ্যপটগুলো তাদের বর্ণনায় যেন ফুটে উঠেছিল আমাদের সবার চোখের সামনে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার এ এইচ এম ইরফান উদ্দিন আহমেদ, তিনি বলেন এমন চমৎকার একটি আয়োজনে এবং কিছু দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য শ্রদ্ধাভরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, এবং তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি মুক্তিযুদ্ধের এই চেতনা ছড়িয়ে যাক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আসফার সায়মা, থানা অফিসার ইনচার্জ মির্জা মোহাম্মদ হাছান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মাষ্টার প্রমুখ। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে মিলাদ ও দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শেষ হয়।