জেলার মধ্যে হাতে গোনার মধ্যে একটা এবং নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে একমাত্র শতবর্ষী বিদ্যা প্রতিষ্ঠান এস জি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জুলুহার। সমগ্র উপজেলার মধ্যে একটা গর্বের বিষয় শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে। আর হ্যা আমরাও বলছিলাম স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে অন্যতম ঝুঁকিতে থাকা শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা। ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সমুদয়কাঠীর ইউনিয়নের মধ্যে জুলুহার গ্রামে এস জি এস মাঃ বিদ্যালয়। তৎকালীন সময়ে ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের মানুষের আন্তরিকতায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের এই প্রতিষ্ঠান। আর সেই আলোকে প্রাথমিক ভাবে সপ্তগ্রাম নাম রাখা হয়। ভৌগলিক দিক দিয়ে চমৎকার স্থানও বলা যায়। ঐতিহ্যবাহি গাবখান নদীর উত্তর পাড়ে এক একর ছাপ্পান্ন শতাংশ জায়গা নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সূচনা লগ্নে বহুত কাঠখড় পোহাতে হয়েছে সাত গ্রামের শিক্ষানুরাগী মানুষদের। অথচ আজ কালের সাক্ষী উপজেলার মধ্যে একমাত্র শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাত গ্রামের সাধারণ মানুষের অবদান আজ সমগ্র জেলা সহ উপজেলার আর্শীবাদ এবং গর্বের। বিগত সময়ে বড় ভয় ছিল গাবখান নদীর ভাঙ্গনের হুমকি। অবশ্য আজ সেই ভয় কাজ করে না কোমল মতি শিক্ষার্থীদের। অথচ আজ বড় ভয় ছাদ ধসের আশংকা। ক্লাস শুরু থেকে ছুটি হওয়ার আগ পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীরা থাকে চরম উৎকন্ঠায়। কখন ছাদ ধসে পড়বে,কে চাপা পড়বে কিংবা মারা যাবে। কোমল মতি শিক্ষার্থীরা ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাসে মনযোগ হওয়ার আগেই মনের ভয়ে প্রকৃত শেখার দারুণ ঘাটতি হয়। অথচ বর্তমান এই ভবনটি সাত গ্রামের মানুষের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয় ১৯৬৪-৬৫ সালে। আসলেই বিচিত্র সেলুকাস বিচিত্র চিন্তা ভাবনা থেকেই আজকের শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সময়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ ব্যাপারে শতাধিক শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ফেটে পড়ে। হতাশার সুরে সু মিলিয়ে বলেন আমরা শতবর্ষী স্কুলের ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ ! স্থানীয় প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। অথচ গর্ব করে বলে একমাত্র উপজেলার শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এস জি এস মাঃ বিদ্যালয়,জুলুহার। ক্ষোভের সহিত কোমল মতি শিক্ষার্থীরা আরও বলেন আসলেই আমরা চরম বৈষম্যের শিকার। নাম না প্রকাশের শর্তে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের শিক্ষকরা আমাদের নিয়ে মহা টেনশনে আছে। তবে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক সহ সহকারী শিক্ষকরা প্রতিদিনই সতর্ক হওয়ার জন্য তাগিদ দেয়। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলেই আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দারুণ উৎকন্ঠায় ক্লাস করেন। কোমল মতি ছেলে মেয়েরা আমাদের সন্তান। তাই সন্তানের জন্য চরম উৎকন্ঠা থাকাটাই স্বাভাবিক। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন বিগত সময়ে সৈয়দ শহিদুল হক জামালের সময়ে একটা ভবন স্থাপিত হয়। তবে ঐ ভবনে সকল শিক্ষার্থীরা একত্রে পাঠদান করার সুযোগ নেই। এদিকে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কুলের বর্তমান সভাপতি মোঃ হিরন হাওলাদারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হয়। তিনি প্রথমেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন আমি শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এস জি এস মাঃ বিদ্যালয়,জুলুহার স্কুলের সন্মানিত সভাপতি। আসলেই আমি গর্বিত উপজেলার মধ্যে একটা ইতিহাস সৃষ্টি কারী স্কুলের সভাপতি । তবে এটা যেমন সন্মানের ঠিক তেমনি কষ্টের। কারন আজ আমাদের স্কুলের ভবন ঝুঁকি পূর্ণ। যে কোন সময় কঠিন দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । চরম ঝুঁকি নিয়ে কোমল মতি ছেলে মেয়েরা ক্লাস করেন। আসলে এটা আমার জন্য চরম লজ্জা । আমি সব সময় চরম টেনশনে থাকি কোমল মতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন , আমি আমার সাদ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি কিভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন স্থাপন করা যায়। আমি সহ আমাদের কমিটির নেতৃবৃন্দ জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যত্রতত্র ভাবে । এদেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের প্রধান অকপটে গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন আসলেই উপজেলার মধ্যে একমাত্র শতবর্ষী স্কুলের ভবনের অবস্থা সংকটাপন্ন । চরম ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীরা শ্রেনী কক্ষে পাঠদানে অংশ গ্রহণ করে। আসলেই এটা আমাদের জন্য চরম লজ্জা। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অকপটে স্বীকারও করেন, আমি আমার সাদ্য মতো চেষ্টা করে যাবো যাতে আগামী অর্থ বছরের মধ্যে নতুন ভবন হয়। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও উপজলার মধ্যে একমাত্র শতবর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেহাল দশার বর্ণনা শুনে মর্মাহত। তিনিও আপ্রাণ চেষ্টা করবে উপজেলার মধ্যে একমাত্র শতবর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নুতন ভবনের স্থাপনের জন্য। এস জি এস মাঃ বিদ্যালয়,জুলুহার স্কুল স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে এরকাত্র শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই আমিও নুতন প্রজন্মের জন্য একটা চমৎকার নজির স্থাপন করে যাব নুতন ভবনের জন্য।সর্বশেষ তথ্য মতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং মাননীয় মন্ত্রী এ্যাড শ ম রেজাউল করিমের সুদৃষ্টি অতীব জরুরী নুতন ভবন স্থাপনের জন্য। নইলে সকলের অবহেলায় হয়তো শ্রীঘ্রই সমুদয়কাঠীর মধ্যে জুলুহারে স্কুল ভবন ধষে প্রাণহানি হবে বহু কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এ ব্যাপারে এলাকার বেশির ভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, এলাকায় ভালো কিছুর ইতিহাস সৃষ্টি হোক। কিন্তু মৃত্যু জনিত ঘটনা নিয়ে যেন কোন ধরনের ইতিহাস সৃষ্টি না হোক। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি দেওয়া হোক নুতন প্রজন্মের জন্য অতীব জরুরী । কোমল মতি শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এস জি এস মাঃ বিদ্যালয়ে নুতন ভবন হোক। ঝুঁকি পূর্ণ ভবনে আর কোন ক্লাস করতে রাজি নই বলে কোমল মতি শিক্ষার্থীরা সর্বশেষ গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন।