কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এতে সেনাপ্রধান উপস্থিত সব ইঞ্জিনিয়ার ইউনিটের অধিনায়ক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এবং কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে পরিচালিত কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের অষ্টম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিষেক হলো সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের। নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্ব নেন সেনাপ্রধান। সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং প্যারেড গ্রাউন্ডে সামরিক রীতি ও ঐতিহ্য মেনে এ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সেনাপ্রধানকে ‘কর্নেল র্যাংক ব্যাজ’ পরিয়ে দেন কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এর আগে সেনাপ্রধান প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে তাকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানোর পাশাপাশি কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। এরপর উপস্থিত সবার উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান। পরে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মদানকারী কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের বীর শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তিনি। কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২১-এ যোগ দেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। সম্মেলনে সেনাপ্রধান উপস্থিত সব ইঞ্জিনিয়ার ইউনিটের অধিনায়ক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এবং কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে পরিচালিত কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তিনি কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশের সেবায় এই কোরের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ছাড়াও কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের ঊর্ধতন কর্মকর্তা ও ইউনিট প্রতিনিধি এবং বগুড়া এরিয়ার বিভিন্ন পদবির সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেনাপ্রধান কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার মাধ্যমে এই কোরের সদস্যদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি এবং কোরের প্রতিটি সদস্যের মধ্যে আগামী দিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।