মুজিব বর্ষে বগুড়ার ৫২ হাজার কৃষকের বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপ সেচের ভাড়া অর্ধেক দামে দিচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন।বগুড়ায় ৫ হাজার ২শ’ হেক্টর জমির এ সেচ সুবিধার আওতায় আসবে।
গত বোরো থেকে শুরু হওয়া এ সুবিধা চলতি বছরের আমন মৌসুমে অর্ধেক দামে সেচ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আসন্ন বোরো মৌসুমে ্এ সেচ সুবিধার পাবে জেলার ৫২ হাজার কৃষক। জেলা বিএডিসির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস.এম শহীদুল আলম জানান, প্রতি একরে ৫২ হাজার কৃষককে সেচের ভাড়া হিসেবে পরিশোধ করতে হবে প্রতি একরে সেচ ভাড়ার অর্ধেক ২৫০ টাকা। মুজিরবর্ষে কৃষকদের সাশ্রয় হচ্ছে ২৫০ টাকা। সেচ যন্ত্রের সক্ষমতা অনুযায়ী যেমন, বার্ষিক ভাড়া হিসেবে ২ কিউসেক সেচ যন্ত্রের জন্য যদি ভাড়া ২০ হাজার টাকা হয়, তবে কৃষকদের দিতে হবে ১০ হাজার টাকা। সেচ ভাড়া ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ায় হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হবে বলে জানান জেলা বিএডিসির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী।
এ সেচ সুবিধা গত বোরা মৌসুম থেকে শুরু হয়েছে, চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা সাশ্রয়ী ভাড়ায় সেচ সুবিধা পেয়েছে। আসন্ন বোরো মৌসুমে ৫০ শতাংশ কম ভাড়ায় সেচ সুযোগ পাবে ৫২ হাজার কৃষক।
জেলা বিএডিসি সেচ সূত্রে জানান গেছে জেলায় বিএডিসির বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপ আছে২৫০ টি। এ ২৫০ টি সেচ যন্ত্রের দিয়ে জেলায় ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমি সেচ সুধিার আওতায় আসবে। ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওযায় বিএডিসির বিদ্যুৎ চালিত সেচে ভাড়া বৃদ্ধি পায়নি। বিএডিসির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জানান পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সেচে এ উপহার পাবে কৃষকরা। মুজিব বর্ষ শেষ হলেও আগামী বোরো মৌসুমেও অর্ধেক ভাড়ায় কৃষকরা সেচ সুবিধা পাবে। অর্ধেক ভাড়ার জন্য বিএডিসি সেচ এর ১৬৮ টি সেচ ব্যবহার হবে।