সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সৈকতজুড়ে শুধু মানুষ আর মানুষ। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত অতিরিক্ত পর্যটক কক্সবাজার সৈকতে আসেন। গতকাল শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সৈকতের লাবণী, কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। তারা বালিয়াড়িসহ সাগরের নোনা পানিতে আনন্দে মেতেছেন। কেউ আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ছবি তুলছেন, আবার কেউ সেলফিতে মেতে উঠেছেন। কেউ সমুদ্রের ঢেউয়ে পা ভেজাচ্ছেন, কেউবা সি বেঞ্চে আরাম করে বসে আছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকরা আনন্দ আর হৈ হুল্লোড়ে মেতে উঠেছেন। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে সাগর তীর। সমুদ্র সৈকতে স্নান, ঘুরে বেড়ানো, ছবি তোলা, বিচ বাইক ও জেট স্কিতে কাটছে তাদের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো। সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তারা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িতে উঠে সকাল ৮টায় কক্সবাজার পৌঁছান তারা। এরপর হোটেলে ব্যাগ রেখে দল বেঁধে সবাই সমুদ্র সৈকতে ছুটে আসেন। সমুদ্রে গোসল, দৌড়াদৌড়ি ও বালু নিয়ে বন্ধুরা সবাই হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন। দারুণ সময় কাটছে তাদের।
মানিকগঞ্জ থেকে আসা রিয়াদ-সাবিনা দম্পতি জানান, গত দুদিন ধরে রামুর বৌদ্ধবিহার, ইনানি সৈকত, হিমছড়ির ঝর্ণা ও পাহাড় দেখেছেন। এখন সবাই মিলে কক্সবাজার সৈকতে আনন্দ করছেন তারা। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, পাশের দেশে ওমিক্রন আক্রন্তের খবর শোনা যাচ্ছে। সেটা চিন্তা করে সৈকতের কয়েকটি পয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চাপ থাকলেও অতিরিক্ত সদস্য দিয়ে তা মোকাবিলা করা হয়। মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে পর্যটকদের বাধ্য করা হচ্ছে।