বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

ডা. মুরাদের কী পরিণতি হতে পারে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১

আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মতো পরিণতি হতে পারে সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের। গতকাল মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় প্রধান হুইপ নূর-ই-এলাহী চৌধুরী লিটন ঢাকা পোস্টকে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘মুরাদ হাসানকে এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে দলের আগামী কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-এলাহী চৌধুরী লিটন ঢাকা পোস্টকে বলেন, অতীতের দৃষ্টান্তগুলো ফলো করুন। লতিফ সিদ্দিকীর সময় কী হয়েছিল সেটা দেখুন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এর আগে ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন তিনি। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রী পদে নিয়োগের অবসান ঘটানোর জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের (১) দফার (গ) উপ-দফা অনুযায়ী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রী পদে নিয়োগের অবসান হয়।
ওই দিন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি ও প্রাথমিক সদস্য পদ অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিষ্কার করা হয়। ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দল থেকে শাস্তির একাধিক স্তর আছে। যেমন পদ থেকে অব্যাহতি ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার। গঠণতন্ত্র মোতাবেক প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করতে হলে কারণ দর্শানো নোটিশ দিতে হয়। অভিযুক্ত সদস্যকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। তারপর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে অপরাধের মাত্রা, পারিপার্শ্বিকতা ও আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তিনি বলেন, দলের পদচ্যুতি ঘটলে সংসদ সদস্য পদ যায় না। এমনকি দল থেকে বহিষ্কার হলেও সংসদ সদস্য পদ খারিজের সরাসরি বিধান নেই। এটি জটিল প্রক্রিয়া। তবে প্রথাগত প্র্যাকটিস হচ্ছে, মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে পদত্যাগের অনুরোধ করেন, তিনি পদত্যাগ না করলে তাকে অপসারণের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন। তেমনি দল থেকে নির্বাচিত কোনো সংসদ সদস্য অপরাধ করলে দলীয় প্রধানের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যকে পদত্যাগের অনুরোধ করলে তিনি তা প্রতিপালন করেন। প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে এ পন্থা অনুসৃত হয়েছে। ডা. মুরাদের বিষয়ে দল কি সিদ্ধান্ত নেবেন তা বলার অধিকার আমার নেই। আমি কেবল প্রক্রিয়াটি বললাম। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এ বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরুপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-(ক) ওই দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না। সদস্যদের আসন শূন্য হওয়ার ৬৭ অনুচ্ছেদ এ বলা হয়েছে: (১) কোন সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হইবে, যদি (ক) তাহার নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে অসমর্থ হন তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পূর্বে স্পিকার যথার্থ কারণে তাহা বর্ধিত করিতে পারিবেন; (খ) সংসদের অনুমতি না লইয়া তিনি একাদিক্রমে নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন; (গ) সংসদ ভাঙিয়া যায়; (ঘ) তিনি এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন অযোগ্য হইয়া যান; অথবা (ঙ) এই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। (২) কোন সংসদ-সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, এবং স্পিকার- কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকিলে বা অন্য কোন কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ডেপুটি স্পিকার- যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হইতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হইবে।
ডা. মুরাদকে জামালপুর আ.লীগের কমিটি থেকে অব্যাহতি: কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জামালপুর-৪ আসনের সাংসদ ডা. মো. মুরাদ হাসানকে এবার জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। তিনি বলেন, আজ বিকেল ৪টায় জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জামালপুরের বকুলতলায় দলীয় কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে জানানো হবে, কেন্দ্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকী বিল্লাহর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দলীয় ভাবমূর্তি বিনষ্ট, অগঠনতান্ত্রিক ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকা-ে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ডা. মো. মুরাদ হাসানকে অব্যাহতির এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ডা. মুরাদকে অব্যাহতি প্রদান করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট চিঠি পাঠাবে জেলা আওয়ামী লীগ। এর আগেই অবশ্য মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ থেকে ডা. মুরাদকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। ডা. মো. মুরাদ হাসান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ডা. মুরাদ হাসান। বিশেষ করে রাষ্ট্রধর্ম, রাজনীতি, খালেদা জিয়ার নাতনি ও সবশেষ ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার উল্টাপাল্টা মন্তব্য এবং অস্বাভাবিক আচরণের কারণে দলীয় সহকর্মীদেরও বিব্রত হতে হয়েছে। এসবের জেরে সোমবার রাতে ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এদিকে মুরাদ হাসানকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আগামী কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। সংশ্লিষ্টদের মতে, দল থেকে বহিষ্কার হলে তাকে সংসদ সদস্যপদও হারাতে হতে পারে। মুরাদ হাসান পেশায় চিকিৎসক। তিনি আওয়ামীপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য।
ডা. মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি: সদ্য পদত্যাগী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে নায়িকা মাহিয়া মাহির ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার জেরে প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশিদ এ কথা জানান। ডা. মুরাদ হাসান গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহারের কথা বলেছেন। এধরনের কাজে ব্যবহার হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি অন্য কোনো বাহিনীর কথা বলবো না। যেহেতু তিনি (মুরাদ হাসান) ডিবির কথা উল্লেখ করেছেন। প্রয়োজনে তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।’ নায়ক ইমনের মোবাইল থেকে অডিওটি ছড়িয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আমরা এখনো তদন্ত করছি এটা।’ আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ অভিযোগ দিলে নায়ক ইমন ও মাহিয়া মাহিকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না জানতে চাইলে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ যদি অভিযোগ দায়ের করে এবং আমাদের ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ আসে তাহলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। কোনো কিছু ভাইরাল হলে আমাদের ডিবির সাইবার ইউনিট দেখভাল করে ও তদন্ত করে।’ মাহি যদি দেশে আসে তাকেও আপনারা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা মাহিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবো।’ সেদিন ফোনালাপের পরে ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে এখনো আসেনি। আমরা প্রয়োজনে সবার সঙ্গেই কথা বলবো।’
নায়ক ইমনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে তিনি নায়িকাদের বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেন, প্রতিমন্ত্রীর কাছেও তিনি নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিলেন, আপনারা ইমনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেবল আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ পেলেই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।’ সম্প্রতি তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এবং তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে অসৌজন্যমূলক কথা বলেন। এছাড়া এর কিছু পরই প্রতিমন্ত্রী মুরাদের একটি কথোপকথন ফাঁস হয়, যেখানে তিনি অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বলেন। ফোনে চিত্রনায়ক ইমনকে তিনি বলেন, ঘাড় ধরে যেন মাহিকে তার কাছে নিয়ে যান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ডা. মুরাদের শাস্তির দাবি ওঠে। এরপর সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, ‘সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে এবং তিনি তাকে আগামীকালের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলেছেন। আমি আজ রাত ৮টায় তাকে বার্তাটি পৌঁছে দিই।’ এদিকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে নিজ মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান ডা. মুরাদ হাসান। মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২টায় পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পাঠান। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com