কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নে কর্মসৃজন কাজে সিমাহীন অনিয়ম ও বৈষম্যনীতির অভিযোগ উঠেছে। নামে মাত্র শ্রমিকদের তালিকা থাকলেও কর্মক্ষেত্রে নেই অনেকেই। এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে ১নং ও ৯নং ওয়ার্ডে।
জানা যায়, সাগর তীরবর্তী ধলঘাটা ইউনিয়নের যোগাযোগ উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে বি”িছন্ন। এ ইউনিয়নের অধিকাংশ লোক হতদরিদ্র ও জেলে পরিবার। প্রতি বছর ইউনিয়নের রাস্তাঘাট নির্মাণ ও মেরামতের জন্য সরকার লাখ লাখ টাকা বরাদ্ধ দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, প্রকল্প টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও ¯’ানীয় জনপ্রতিনিধির যোগসাজসে নি¤œমানের কাজ করে বেশিভাগ টাকা আত্মসাৎ করেন। যার ফলে বর্ষা মৌসুম আসার সাথে সাথে তলিয়ে যায়। শুষ্ক মৌসুম শুরুতে উক্ত ইউনিয়নের রাস্তাঘাট সংস্কার করার জন্য কর্মসৃজনের আওতায় ৪ শত ২২ জন হতদরিদ্র শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। তবে ইউনিয়নটির দু’ওয়ার্ডে লোক নিয়োগে ¯’ানীয় চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈষম্যনীতি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং কয়েকজন ইউপি সদস্য। ২২ ডিসেম্বর বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডে তালিকায় ৫১ জন হলেও কর্ম¯’লে দেখা মিলে ২৬ জন এবং ৯নং ওয়ার্ডে ১ শত জন তালিকায় থাকলেও দেখা মিলেছে ৪০ জনের। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু। এদিকে ২নং ওয়ার্ডের এমইউপি রুহুল আমিন বাদশা থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, উক্ত ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট মারাত্মক, বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ হলে লোক দেওয়া হয়েছে শুধু ১২ জন। তাও নামে মাত্র! পার্শ্ববর্তী ৩নং ওয়ার্ডের একমাত্র রাস্তাঘাট বিলীন হলেও এ ওয়ার্ডে লোক দেয়া হয়েছে ১৭ জন। এভাবে বৈষম্যনীতি করায় ওয়ার্ডগুলোর জনসাধারণের মাঝে চলছে বিভিন্ন বিরূপ প্রতিক্রিয়া। উক্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নেও বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। মহেশখালী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জামাল হোছাইন বলেন, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিনিধি লিখিত অভিযোগ করেনি এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক আসলে বারং করতে স্ব স্ব প্রকল্প সভাপতি ও মাঝিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।