বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আইনের দোহায় দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছেনা। খালেদা জিয়াকে শুধু দলের নেতাকর্মীরা নয়, দেশের সাধারণ মানুষও ভালোবাসে। সরকারের অবহেলায় খালেদা জিয়ার কোন অঘটন ঘটলে দলের নেতাকর্মীরা, সাধারণ মানুষের কারও হুকুমের দরকার পড়বেনা সারাদেশ অচল করে দিবে সাধারণ জনতা। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সাড়ে চারটা হইতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় জামালপুরে ফুলবাড়িয়া ঈদগাহ মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন নির্বাচন কমিশন করার জন্য সার্চ কমিটির নামে রসিকতা করা হচ্ছে। যে পর্যন্ত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হবে যাকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন বানান তাতে কোন লাভ হবেনা। জনগন আর এদেশে ভোটার বিহীন নির্বাচন হতে দিবেনা জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুন প্রমুখ। অপরদিকে মত বিনিময় সভায় সংবাদ কর্মীদের নিয়ে বলেন সরকার চাইলে খালেদা জিয়ার বিদেশ যেতে বাধা থাকবেনা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ৪০১ ধারায় যেসব শর্তে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেগুলো উঠিয়ে নিলেই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে আইনি কোনো বাধা থাকবে না। ‘তিনি আরও বলেন ‘শর্ত উঠিয়ে নিলেই বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যেতে বাধা থাকবে না এই কথাটি প্রেসের সামনে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন। দু দিন পর তিনি সেখান থেকে সরে এসে বললেন, সম্ভব নয়। আমরাও মনে করি, শর্ত উঠিয়ে নিলেই আইনি কোনো বাধা থাকবে না। ‘ গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জামালপুর স্টেশন বাজার রোডে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে বিএনপির গণসমাবেশ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমান সরকার ফরমায়েসি রায়ের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। জেলখানায়ও তার চিকিৎসা করানো হয়নি। খালেদা জিয়া বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সরকার তার জামিনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মুক্তির নামে তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বারবার বলে আসছেন দেশে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। জরুরিভিত্তিতে তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার করাতে হবে। কিন্তু সরকার তা না করে বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে নিয়েছেন। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী মো. সিরাজুল হক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বক্তব্য রাখেন।