খালের উপর মাছ ধরার জাল থাকলেও নেই পানি। শুকিয়ে পুরো খাল প্রায় পানিশূন্য। তার উপর খালের মধ্যেই স্থাপনা তৈরি করে অবাদে চলছে দখলের প্রতিযোগিতা। দূর থেকে বোঝার উপায় নেই খালের অস্তিত্ব। কোথাও বা পাড় ঘেঁষে কোথাও বা মাঝে আরসিসি পিলার দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ বসতবাড়ি। এক সময়ের খরস্রোতা খাল মানুষের দখলে এখন চলে গিয়ে এখন যেন মরা ডোবায় পরিনত হয়েছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনটাই দেখাগেছে। কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বিপিনগঞ্জ বাজারের পাশেই স্থানীয় বাসিন্দা আলপিনা খাতুনের বিরুদ্ধে খালের মাঝ বরাবর আরসিসি পিলার বসিয়ে দোকান তৈরির অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এছাড়া পৌরশহরের বিরিশিরি, উৎরাইল বাজার, চন্ডিগড় ইউনিয়নের চন্ডিগড় ও কেরণখলা, কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণেরচর বাজার ও ঝাঞ্জাইল বাজার এলাকা গুলো সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে এভাবেই নির্মিত হচ্ছে স্থাপনা। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েও তেমন কোনো প্রতিকার পায়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কৃষ্ণেরচর বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, গায়ের জোর খাটিয়ে খালের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে ভুমি খেকোরা। আমরা বেশ কয়েকবার বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেও উল্টো আমাদেরকে মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে। খালের মুখ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণের ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহের মুখ বন্ধ হয়ে আমাদের বসতবাড়ি সহ চাষের জমিতে পানি প্রবাহিত হয়। এতে করে একদিকে যেমন সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা অপর দিকে ফসল ক্ষতি হয়ে আমাদের লোকসানের মুখে পড়তে হয়। আমরা এ বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাইনি। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান বলেন, সরকারি জায়গা দখলকারী সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ সরকারি জায়গা বা সরকারি খাল দখল করার চেষ্টা করলে আমরা তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। এ নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি।