বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আজ আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন।
কেরানীগঞ্জ কারাগারে নবনির্মিত দ্বিতীয় ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির নতুন এ দিন ধার্য করেন। এ মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে। এছাড়া স¤প্রতি আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ারও মারা গেছেন। বর্তমানে এ মামলার আসামি নয়জন। তারা হলেন খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারি পরিচালক মোঃ সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মোঃ আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির এ চুক্তির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করা হয়।