বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

নওমুসলিম নারীর প্রথম মদিনা সফরের অভিজ্ঞতা

আবরার আবদুল্লাহ
  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২

মদিনা সফর হজ ও ওমরাহর অপরিহার্য অংশ নয়। তবু প্রত্যেক মুমিন হজ-ওমরাহর সময় মদিনা সফর করে, মহানবী (সা.)-এর মসজিদ ও তাঁর পবিত্র রওজা জিয়ারত করে, সেখানে নামাজ ও ইবাদতে অংশগ্রহণ করে। মদিনার প্রতি এই ভালোবাসা মহানবী (সা.)-এর দোয়ার প্রতিফল। তিনি দোয়া করেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের মদিনার ভালোবাসা দান করুন। যেমন আমরা ভালোবাসি মক্কাকে অথবা তার চেয়ে বেশি ভালোবাসা দান করুন। হে আল্লাহ আমাদের ‘সা’ ও ‘মুদে’ (পরিমাপ বিশেষ) বরকত দান করুন এবং মদিনাকে আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর বানিয়ে দিন। এর জ্বরের প্রকোপ বা মহামারিকে জুহফায় স্থানান্তরিত করে দাও। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৮৯) আয়েশা রোজালি একজন ব্রিটিশ নারী। তিনি তিন বছর আগে ইসলাম বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং এরপর ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। স¤প্রতি তিনি পবিত্র মদিনা নগরী সফর করেন এবং সামাজিক মাধ্যম ইউটিউবে নিজের প্রথম মদিনা সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘ভাবতেই আবেগে আপ্লুত হয়ে যেতে হয় যে আমি মহানবী (সা.)-এর মসজিদের আঙিনায় দাঁড়িয়ে আছি। হে আল্লাহ, সত্যিই কী আমার এই সৌভাগ্য অর্জিত হলো! সত্যি বলতে, এখানে উপস্থিত হতে পারা আবেগে বাকরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এখানে সারা পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মুসলিম উপস্থিত হয়েছে। হয়তো আপনারা যারা আমার ভিডিওটি দেখছেন তাদের অনেকে মদিনা জিয়ারতে আমার চেয়ে বেশি যোগ্য। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ! আমি এখানে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমার ইচ্ছা হয়, আমি আমাদের সবাইকে এখানে নিয়ে আসি। কেননা আমাদের মধ্যে অনেকে কোরআনের হাফিজ, অনেকেই আমার চেয়ে ইসলামের জন্য বেশি কাজ করছেন এবং বহুজন আমার চেয়ে বেশি যোগ্য। আমি দোয়া করি, আল্লাহর ইচ্ছায় আপনারা সবাই যেন এখানে আসতে পারেন। কেননা মদিনা সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতো স্থান। মদিনা নগরীকে মদিনাতুল মুনাওয়ারা (আলোকিত শহর), মদিনাতুন নুর (আলোর শহর), মদিনাতুন নবী (নবীর শহর) ও মদিনা তাইয়িবাহ (পবিত্র শহর) বলা হয়ে থাকে। এখানে মহানবী (সা.)-এর জীবনের শেষ ১০টি বছর কাটিয়েছেন। এখানে তাঁর হাতে গড়া মসজিদ, তাঁর রওজায়ে আতহার, স্মৃতিধন্য বহু স্থান আছে। মদিনার মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করলে সাধারণ মসজিদ থেকে নামাজ আদায় করা থেকে এক হাজার গুণ বেশি সওয়াব লাভ হয়। এ ছাড়া মহানবী (সা.) মদিনা নগরীর বরকত ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করেছেন। তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, মক্কায় যতটুকু বরকত রয়েছে, মদিনায় তার দ্বিগুণ বরকত দাও। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৩৯২) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘মদিনার পথে-প্রান্তরে রয়েছে (প্রহরী) ফেরেশতারা, (তাই) এখানে মহামারি ও দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৮০) অ্যাবাউট ইসলাম অবলম্বনে




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com