দেশ চরম সঙ্কটে পড়েছে উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেছেন, এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বস্তরের মানুষের ঐক্য প্রয়োজন।
গতকাল মঙ্গলবার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ডা. খন্দকার মোঃ আলমগীরের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নূর বলেন, বর্তমানে দেশ সঙ্কটের মুখে পড়েছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নাই৷ চরম সঙ্কটে পড়েছে দেশ। এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধের মত আবারো সর্বস্তরের মানুষের একটা ঐক্যের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির একটি রিফর্ম দরকার। সেই কারণে ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতিতে কিছু একটা করার চেষ্টা করছি।
নুরুল হক নূর বলেন, গত ৫০ বছরে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল তারা জনগণের কথা কতটুকু ভেবেছেন আর দলীয় স্বার্থ, নিজ স্বার্থের কথা কতটুকু ভেবেছেন, তা আজকে দৃশ্যমান। স্বাধীনতা ৫০ বছরে যেখানে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো, জাতী হিসাবে আমাদের গৌরব তুলে ধরবো, সেখানে বিশ্ব থেকে আমরা ধিকৃত হই। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো আমাদের কর্তৃত্ববাদী শাসনের দেশ হিসাবে চিহ্নিত করে। উত্তর কোরিয়া মিয়ানমারের সাথে আমরা নিষেধাজ্ঞায় পড়ি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আমার বোনেরা ছোট বাচ্চাদের বাসায় রেখে গার্মেন্টসে কাজ করছে, সেখানে আমাদের রাজনীতিবিদরা ক্ষমতা ভোগ করতে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আনছে। যেখানে আমাদের যুবকরা তাদের যৌবনকে উপভোগ না করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিশ্রম করে দেশের রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। সেখানে পাপলুর মতন সংসদ সদস্যরা আমাদের দেশকে মানবপাচারে দেশ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়।
নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করা হয়েছে। সেখানে সংসদ সদস্যদের পাশ কাটিয়ে আইন করা হয়। যে আইনটি করা হয়েছে সেখানে সংসদকে একবার বাইপাস করে রাখা হয়েছে। সংসদ সদস্যদের সেখানে কোনো অংশগ্রহণ রাখা হয়নি। সংবিধানে যেভাবে এক ব্যক্তিকে কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে। একইভাবে এই আইনে এক ব্যক্তিকে কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে।
গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চলনায় স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ডা. আলমগীরের সহধর্মিণী আকতার জাহান আলমগীর, ভাষানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।