ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্র্রতিদিনই নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে শত শত ব্যাটারি চালিত থ্রি হুইলার অটো ও ইজিবাইক চলাচল করছে মাধবদী পৌর শহর সহ আশপাশের এলাকার সড়কগুলোতে। বাসস্ট্যান্ড থেকে শীতলাবাড়ি, আনন্দী মোড় থেকে ফুলতলা, বালুচর, বালুসাইর, বর্দ্ধ, গরুরহাট থেকে শান্তির বাজার, বিবির কান্দী, বালাপুর, মেঘনা বাজার, বটতলা থেকে আলগী, নূরালাপুর, খিলগাঁও, পৌরসভা মোড় থেকে কালিবাড়ি, বাহাদুরপুর, গদাইরচর, জোয়াইরাকান্দা, পোস্ট অফিস মোড় থেকে রসুলপুর, কান্দাপাড়া এবং ঢাকা সিলেট মহাড়কের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে কান্দাপাড়া রসুলপুর হয়ে সাতগ্রাম সহ শীতলাবাড়ি হয়ে মাধবদীর সাবেক রেলওয়ে রাস্তায় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে প্রশাসনের চোখের সামনেই শত শত ব্যাটারি চালিত পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক থ্রি হুইলার ও ইজিবাইক অটো চলাচল করছে প্র্রতিদিন। এসব যানবাহন শুধু পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারকই নয় সেই সাথে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সেই সব গাড়ির ব্যাটারি চার্জ দেয়া হচ্ছে নিয়মিত। এতে সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, মাধবদীর আলগী, গদাইরচর, ছোট মাধবদী, আনন্দী, ফুলতলা, শেখেরচর, বালুসাইর, আটপাইকা, বালুচর সহ সাবেক রেল সড়কের বিভিন্ন স্থানের যেখানেই অটোর ব্যাটারি চার্জ দেয়ার গ্যারেজ রয়েছে ঔই সব স্থানেই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। উল্লেখিত অটো ও ইজিবাইক সারাদিন রাস্তায় কোন নিয়মনীতি মানছেনা এবং নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাচল করছে। রাতে যার যার নির্ধারিত গ্যারেজে গাড়ির ব্যাটারি চার্জ দেয়ার সময় গ্যারেজের অধিকাংশ মালিকই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে সারারাত এসব অটো আর ইজিবাইকের ব্যাটারী চার্জ দিচ্ছে। আশপাশের মিল-ফ্যাক্টরী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ বিভিন্ন গ্যারেজে এক তারে এসব অবৈধ সংযোগ চালানোর ব্যাপারে মাধবদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কিছু পরিদর্শক রয়েছেন যারা এসব অবৈধ সংযোগ দেখেও গ্রাহকের সাথে অবৈধ চুক্তি থাকায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। এতে করে বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের খরচের দায় বহন করতে হচ্ছে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। এসব অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উর্ধতন কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।