বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন

নিয়োগ বঞ্চিত কালাইয়ের নিশাত সুলতানাকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

মুনছুর রহমান কালাই (জয়পুরহাট) :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক জাতীয় মেধায় ২০১৯ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রে যশোরের তালবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে প্রভাষক এমপিও পদে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া নিয়োগ বঞ্চিত নিশাত সুলতানাকে (ব্যাচ-১০ , রোল-৪১০০১১৯৮) চার সপ্তাহের মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের এমপিও পদে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিচ্ছেন হাইকোর্ট। আদেশের কপি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ অফিসে পৌঁছেছে। নিশাত সুলতানার বাড়ি জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার হাতিয়র কাজিপাড়া গ্রামে আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। রিটকারী নিশাত সুলতানার পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট আব্দুল মজিদ মোল্লা। গত বছরের ২৯ নভেম্বর প্রথম দিনের শুনানি শেষেই মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও মোস্তাফিজুর রহমান এঁর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দৈত বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেন এবং নিয়োগ আদেশ পাওয়ার পর ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য আদেশে বলা হয়। জানা গেছে- গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি নিশাত সুলতানার মতো ভুল চাহিদায় নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া ১২৮৪ জন প্রার্থীকে তাদের স্থায়ী ঠিকানার কাছাকাছি প্রতিষ্ঠানে নতুন করে নিয়োগ সুপারিশ করলেও নিশাত সুলতানাকে নিয়োগ বঞ্চিত করা হয়। এতে চরম হতাশায় ভোগতে থাকেন তিনি। তাই ন্যায় বিচার পেতে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করলে হাইকোর্ট তাকে নিয়োগ দিতে রায় দেন। নিয়োগ বঞ্চিত নিশাত সুলতানা জানান, তিনি দ্বিতীয় নিয়োগের চক্রে ২০১৯ সালে জাতীয় মেধায় যশোর তালবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজে মনোবিজ্ঞান বিষযয়ে প্রভাষক এমপিও পদে নিয়োগ সুপারিশ পান। কিন্তু সেই কলেজে বিষয়টির অনুমোদন না থাকায় তিনি যোগদান করতে পারেননি। এনটিআরসিএ গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তার মতো ভুল চাহিদার কারণে যোগদান করতে না পারা ১২৮৪ জনকে নতুন করে নিয়োগ সুপারিশ করলেও তাকে নিয়োগ বঞ্চিত রেখেছিলেন দীর্ঘ ১ বছর। এনটিআরসিএ অফিসে একাধিক বার যোগাযোগ করলেও নিয়োগ না দিয়ে সময় ক্ষেপন করছিলেন। তাই ন্যায় বিচার পেতে হাইকোর্টে রিট মামলা করেন এবং মহামান্য হাইকোর্ট তাকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট আব্দুল মজিদ মোল্লা। অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ, সিরাজুল আলম ভূঁইয়া ও দেলোয়ার হোসেন। রিটকারীর আইনজীবী আব্দুল মজিদ মোল্লা বলেন, বৈধভাবে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েও কতৃপক্ষের ভুলের কারণে আমার মক্কেলকে নিয়োগ বঞ্চিত করেছিল। তাই অধিকার আদায়ে ও ন্যায় বিচার পেতে হাইকোর্টে রীট করলে গত ২৯ নভেম্বর-২০২১ এর প্রথম দিনের শুনানি শেষেই মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দৈত বেঞ্চ তাকে এমপিও পদে নিয়োগ দিতে আদেশ দেন। অথচ একই সঙ্গে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া অন্যরা নিয়োগ পেয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন ও নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com