বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

সরকারের পরিকল্পনার অভাবে লাকসানে হাজার হাজার আলু চাষী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

দেশে আলুর বাম্পার ফলন নিয়ে সরকারের নেই বিশেষ পরিকল্পনা। কৃষকদের পক্ষ থেকে বার বার এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এ বছর এখনও কোনও বিশেষ উদ্যোগের কথা শোনা যায়নি। বিষয়টি দুঃশ্চিন্তায় ফেলেছে কৃষকদের। এ বছর বাম্পার আলু ফলিয়ে লোকসানের ঘানি টানছে হাজার হাজার আলু চাষী। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পথে প্রান্তরে ভ্যানে করে ৭ কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। মাঠে বিক্রি হচ্ছে ২-৪ টাকা কেজিতে। এতে উৎপাদন খরচও উঠছে না চাষীদের। দেশের বিভিন্ন এলাকার আলু চাষীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারা দেশেই সবজির এই ভরা মৌসুমে একটি মাঝারি সাইজের ফুলকপি ও বাধাকপির দাম ৫০ টাকা। লাউয়ের দাম ৭০-৮০ টাকা। করলা ও বেগুনের কেজি ১০০ টাকা। পেঁপের কেজি ৪০ টাকা। কিন্তু ৭ কেজি আলুর প্যাকেজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলকে ভাবিয়ে তুললেও এ অবস্থা দূর করার কোনও বিশেষ পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি। অনেক আগে থেকেই সরকার বিদেশে আলু রফতানির চিন্তা করছে। একাধিক মন্ত্রণালয় ও সংস্থা এ নিয়ে কাজ করছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর দেশে আলুর চাহিদা ৮০ লাখ মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, গতবছর দেশে এক কোটি ১৩ লাখ টান আলু উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর তা দেড় কোটি টনের কমবেশি বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি আলুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর রাশিয়াও আলু আমদানি করতো। তবে এখন তা বন্ধ রয়েছে। এসব দেশসহ আরও কিছু দেশের আলুর চাহিদার বিষয়ে সরকার খোঁজখবর নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এ জন্য বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর কমার্শিয়াল উইংগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে বলেও জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, আলুতে ব্রাউন রোড ডিজিস নামের এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ধরা পড়ায় রাশিয়া কিছুদিন আলু নেওয়া বন্ধ করে দিলেও সেই আপত্তির নিরসন হয়েছে। বাংলাদেশের সব আলু এখন ব্যাকটেরিয়ামুক্ত। বিষয়টি সকল মহলে জানানোও হয়েছে। এরপর রাশিয়া আলু আমদানিতে কিছুটা ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, আলুচাষিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। এমন অবস্থায় অতিরিক্ত আলু যেন রফতানি করা যায়, সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারও চায়, আলু চাষে কৃষক যেন আগ্রহ না হারায়।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আলু রফতানিতে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছর বাংলাদেশ থেকে আলু রফতানি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের। বেশি রফতানি হয়েছে মালয়েশিয়ায়। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, ব্রুনাই, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশেও আমাদের দেশের আলুর চাহিদা রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আলু রফতানিতে সরকার কয়েক বছর ধরে ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে। ২০১৬ সালে তা কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। এখন আবার ২০ শতাংশ করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দেশে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক যাতে লোকসানে না পড়েন সেদিকে নজর রেখে কাজ করা হচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com