বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন

পিরোজপুরে ওএমএস এর গম ভাঙানোতে নয় ছয়ের অভিযোগ

ইমাম হোসেন মাসুদ পিরোজপুর :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে গম ভাঙিয়ে তা থেকে উৎপাদিত আটা স্থানীয় ওএমএস ডিলালের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা। তবে বরাদ্ধ পাওয়ার পর সেই গম স্থানীয়ভাবে না ভাঙিয়ে পাঠানো হয় খুলনায়। আর সে আটা পুনরায় ফিরে না এসে বিক্রি করা হয় কালোবাজারে। এছাড়া আটা উৎপাদনের জন্য সরকারের দেওয়া নিয়মেরও কোন তোয়াক্কা করা হয় না। এতে করে সরকারের প্রদত্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তবে এদিকে নজর নাই সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগের। সাধারণ মানুষের কাছে সুলভ মূল্যে আটা বিক্রির লক্ষ্যে পিরোজপুর সদর এলএসডি থেকে গত ২০ জানুয়ারি পিরোজপুরের তিনটি মিলকে বরাদ্ধ দেওয়া হয় ১৬৯ মে. টন গম। এর মধ্যে মেসার্স ভাই ভাই ফ্লাওয়ার মিলকে ৮ মে. টন, মেসার্স মুনস্টার ফ্লাওয়ার মিলকে ৮১ মে. টন এবং মেসার্স হাওলাদার ফুড প্রোডাক্টসকে ৮০ মে. টন গম বরাদ্ধ দেওয়া হয়। এর পর ৮ ফেব্রুয়ারি ওএমএস এর বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় এই তিনটি মিলকে বরাদ্ধ দেওয়া হয় ১৭১ মে. টন গম যার প্রায় ১৪৮ মে. টন দেওয়া হয় নতুন তৈরি করা মেসার্স মুনস্টার ফ্লাওয়ার মিল এবং মেসার্স হাওলাদার ফুড প্রোডাক্টসকে যা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন মেসার্স হাওলাদার ফুড প্রোডাক্টস এর মালিক আসলাম হাওলাদার। আসলামের খুলনাতেও একাধিক মিল রয়েছে। এছাড়া দুইটি মিলের দায়িত্বেও রয়েছেন একজন ম্যানেজার। অভিযোগ রয়েছে পিরোজপুর থেকে উত্তোলনকৃত গম তিনি খুলনায় নিয়ে ভাঙান এবং সেগুলো পিরোজপুরে না এনে খুলনাতেই বিক্রি করেন। সম্প্রতি চালু করা এ মিলটি পুরোপুরি নির্মান কাজ শেষ না করেই তাড়াহুড়ো করে চালু দেওয়া হয়েছে। সেখানে আদৌ ওএমএস এর কোন গম ভাঙানো হয় কিনা তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এছাড়া খুলনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সংস্থার জন্য বরাদ্ধকৃত গম ভাঙানোর কাজে জড়িত থাকায় তার এ মিলটিতে খাদ্য বিভাগের নাই কোন নজরদারি। শুধু তাই নয়। নিয়ম অনুযায়ী উৎপাদনকৃত আটার বস্তায় মিলের নাম ও সরবরাহের তারিখ উল্লেখের বাধ্যবাধকতা থাকলেও, এর কোনটিই মানা হয় না সেখানে। এছাড়া পরিষ্কার পরিবেশে আটা উৎপাদনের শর্তও উপেক্ষিত মিলগুলোতে। এ অনিয়মের কারণে সহজেই সাধারণ মানুষকে আটা বিতরণ না করে কালো বাজারে পাচারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তবে মিল পরিচালনার সাথে জড়িতদের দাবি সঠিকভাবেই প্রাপ্ত গম থেকে তারা আটা উৎপাদন করে ওএমএস ডিলারদের কাছে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে মিল কর্তৃপক্ষ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি আসলাম হাওলদার। তবে নতুন করে মিল চালু করায় পরিচালনায় কিছু ভুলত্রুটির কথা স্বীকার করেছেন তিনি। অন্যদিকে মিল দুইটির বিষয়ে অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে স্বীকার করলেও, কোন বক্তব্য দেননি পিরোজপুরের সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মশিয়ার রহমান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com