ইন্ডিয়া রয়েল বেঙ্গল মাস্টার শেফ অর্গানাইজেশনের ইন্টারন্যাশনাল রেসিপি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নরসিংদী জেলার মাধবদীর কৃতি সন্তান শেফ ফারজানা তাবাসসুম শাম্মী। গত ২৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় সাতটি দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ফারজানা তাবাসসুম শাম্মী। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ ফ্রান্স, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের মোট ৫০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছেন। এ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ফ্রান্সের ডমিনিক ফিউক্স ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন নেপালের রমেশ কার্কি। এ ছাড়াও বেস্ট হোম শেফ অ্যাওয়ার্ড পান ভারতের রুবি পাঠক, প্রফেশনাল শেফ অ্যাওয়ার্ড পান হরি শর্মা। বর্ণিল আয়োজনের এ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী শাম্মীকে ‘মাস্টারশেফ ইন্ডিয়া’ হিসেবে ঘোষণা করে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে ভারতের বাইরের বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার বিখ্যাত রন্ধন শিল্পী মাস্টার শেফ এলেনা রোডিনা ও বাংলাদেশের শাহিদা ইয়াসমিন, ভারতের মাস্টার শেফ সাইলেস্টার রোজারিও, মাস্টার শেফ কুমার ভাসিন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়া রয়েল বেঙ্গল মাস্টার শেফ অর্গানাইজেশন ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান ওয়ার্ল্ড মাস্টার শেফ সিলভেস্টার রোজারিও, অর্গানাইজেশনের সভাপতি মাস্টার শেফ প্রীতম সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সাই কুমার শর্মা। এ সময় মাস্টার শেফ সিলভেস্টার রোজারিও ১ম স্থান অধিকারীনি বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশের মেয়ে শাম্মীর ভূয়সী প্রশংসা করে তাকে সহ বাংলাদেশের সবাইকে অভিনন্দন জানান। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার শেফ প্রতিযোগিতা আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নরসিংদীর শাম্মীস কিচেনের কর্ণধার ফারজানা তাবাসসুম শাম্মী রন্ধন শিল্পী হিসেবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি সম্প্রতি এশিয়ান টিভি আয়োজিত সেরা রাঁধুনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের সেরা রাঁধুনির শিরোপা অর্জন করেন। শাম্মীর বাড়ি নরসিংদী জেলার মাধবদী পৌর শহরের ছোট মাধবদীতে। সে মাধবদী পৌরসভার সাবেক প্রশাসক ও বাংলাদেশ আওয়ামী তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী ও রাশিদা বেগমের চতুর্থ মেয়ে। মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আমার মেয়ের এই সফলতায় আমরা গর্বিত। তার এই অর্জন বাংলাদেশের রন্ধন শিল্পীদের নতুন উচ্চতায় নিয়েছে। আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।