রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিজয় ছিনিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম খান পতিত আ’লীগ সরকারের কবল থেকে ভিক্ষুকরাও রেহাই পায় নাই : ডা. শফিকুর রহমান জাতির মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই : তারেক রহমান ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা: সাবেক ডিসি মশিউর সাত দিনের রিমান্ডে ভারতে ‘অবৈধ’ শেখ হাসিনা, এখন কী পদক্ষেপ নেবে ভারত দেশবাসী তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে ফোন নম্বর মুখস্থ থাকাই কাল হলো তোফাজ্জলের? আরও কিছু সংস্কার কমিশন করার পরিকল্পনা আছে : নাহিদ মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনার নিযুক্ত খতিব রুহুল আমিনের পলায়ন আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া দেশের জন্য অশনিসংকেত: অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে মাদ্রাসার পাঠদান

সালেহ উদ্দিন তজুমদ্দিন (ভোলা) :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ভোলার তজুমদ্দিনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে একটি মাদ্রাসার পাঠদান। ভবনের একাধিক পিলার পুরোপুরি ভেঙে যাওয়ায় ছাদের ভীম, দেয়াল ও মেজেতে দেখা দিয়েছে ফাটল। করোনায় প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর পাঠদান শুরু হলেও জরাজীর্ণ ভবনে ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে বাধ্য হয়ে ক্লাশ করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনপুর ইউনিয়নে মোহাম্মদ ভেলা ওমরিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। পরবর্তীতে মেঘনার ভাঙনে পুরনো ভবনটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০০৪/০৫ সালে বর্তমান ভবনটি নির্মাণ করে। নির্মাণের পর থেকে দীর্ঘ ১৮ বছরেও মেরামত না করায় মাদ্রাসার ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের একাধিক পিলার সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। ছাদের ভীমে ও দেয়ালের কয়েকস্থানে ফাটল দেখা দেয়ায় মাদ্রাসায় পাঠদান চলাকালীন সময় আতঙ্কে থাকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ অবস্থাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটিতে এবছর মোঠ ৪শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে বলে মাদ্রাসার অফিস সুত্রে জানা গেছে। এলাকাবসীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, মাদ্রাসাটির পুরান ভবনটি নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার পর বর্তমান ভবনটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছরেও ভবনটিতে কোন প্রকার মেরামত না করায় এখন ভবনটি একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। যে কোন মুহুর্তে ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। তাই দ্রুত সময়ে মাদ্রাসাটির জন্য একটি নতুন ভবনের দাবী জানাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট। জানতে চাইলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাঈম, তামিম, শান্তা, তানিয়া, সামিয়া ও সুমাইয়া বলেন, মাদ্রাসার পিলার ভেঙে ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা ক্লাশ করি। ক্লাশ চলাকালীন আমরা আতঙ্কে থাকি কখন যেন মাদ্রাসার ভবনটি ভেঙে পড়ে গিয়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ ভেলা ওমরিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও. শাহ মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, সুপার হিসেবে আমি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করছি। মাদ্রাসার ভবনটির ঝুঁকিপূর্ণর বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবো। জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শওকত আলী বলেন, মাদ্রাসার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তারপরও প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে উধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com