যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে এই প্রথম কোনো দেশের নেতা ভাষণ দিলেন। জেলেনস্কি যখন বলছিলেন, তখন সব আইনপ্রণেতারাই নীরব ছিলেন। ভাষণ শেষে একের পর এক আইনপ্রণেতারা জেলেনস্কির প্রশংসা করলেন। গত মঙ্গলবার ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ও ইউক্রেনের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে ভার্চুয়ালি তিনি এই ভাষণ দেন। এসময় ব্রিটিশ মন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতারা পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন। জেলেনস্কির এই ভাষণকে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন। ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা হাল ছেড়ে দেব না। আমরা কিছুতেই হারব না। দেশের জন্য যেকোনো মূল্যে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। যুদ্ধ চালিয়ে যাব বনে-জঙ্গলে, ক্ষেতে-খামারে, পথে-প্রান্তরে, জলে-স্থলে, আকাশে-বাতাসে, নদীর তীর থেকে তীরে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। এ লড়াই চালিয়ে নিতে আমরা সকলের সহায়তা চাই।’
এ সময় রাশিয়াকে সন্ত্রাসী দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান জেলেনস্কি। তিনি মস্কোর ওপর যুক্তরাজ্যকে নিষেধাজ্ঞা জারি করতেও বলেন। রয়টার্স জানিয়েছে, কোনো ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা এই ভাষণ না শুনে থাকলে সেক্ষেত্রে তিনি যেন পরবর্তীতে তা শুনে নিতে পারেন, সেজন্য জেলেনস্কির ভাষণ রেকর্ড করে রাখা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতারা স্যার কেইর স্টারমার বলেন, ‘জেলেনস্কি আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘জেলেনস্কি তার সামর্থ্য দেখিয়েছেন। এই আমাদেরও দেখাতে হবে এবং ইউক্রেনীয়দের সমর্থন করতে হবে।’ এছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও জেলেনস্কি ও ইউক্রেনীয়দের প্রশংসা করেছেন। যুক্তরাজ্যের জাতীয় রাজনীতিতে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ হাউস অব কমন্সে এর আগে ৪ জন বিদেশি শীর্ষনেতা আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।