দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও বিএনপির বড় বড় কিছু ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, কিছু ব্যবসায়ী পরিস্থিতির সুযোগ নেয়। সরকার সেসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মির্জা ফখরুল আর রিজভী সাহেব শুধু দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকেন। সেজন্য তারা নানা উদভ্রান্তের মতো কথা বলেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও বিডি হলে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি কয়েকটি কারণে নির্বাচনকে ভয় পায়। প্রথমত তাদের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির কারণে জনগণ থেকে বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া দুজনেই দ-প্রাপ্ত আসামি। এ কারণে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সেজন্য বিএনপির নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা মন্ত্রীরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে জনগণের কথা শুনতেছি। বিএনপি সব বিষয় নিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়াতেই ব্যস্ত রয়েছে। দ্রব্যমূল্যে এই করোনার কারণে এবং যুদ্ধের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকার এই দ্রব্যেমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহা. সাদেক কুরাইশীর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সদস্য অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াসহ জেলার স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়।