বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন

সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রাইমারী স্কুলের বাউন্ডারী ব্যবহারের অভিযোগ

নিয়াজ মোর্শেদ (পিরোজপুর) স্বরূপকাঠি :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২

সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে সরকারি মাগুরা প্রাইমারী স্কুলের বাউন্ডারির প্রধান গেট থাকা সত্বেও বিকল্প গেট করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায় স্বরূপকাঠি পৌরসভার মধ্যে মাগুরা গ্রামে ২৮নং মাগুরা সরকারি প্রাইমারী স্কুলের জায়গা ব্যাবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একটি পরিবারকে বাড়তি রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। মাগুরা গ্রামের মৃত আজাহার আলীর পুত্র মোঃ মোতাহারকে সুপরিকল্পিত ভাবে বাড়তি সুবিধা দেয় একটি পক্ষ। অথচ সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে একতরফা ভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে বলে জানান। নাম না প্রকাশের শর্তে মাগুরা গ্রামের বেশীরভাগ অভিভাবকরা লিখিত আকারে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, নিয়ম বহিঃভূত ভাবে বাউন্ডারি ওয়াল থেকে একটা গেট স্থাপন করে। অথচ সরকারি প্রাইমারী স্কুলের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি স্কুলে একটি মাত্র প্রধান গেট থাকিবে। আর সেই অনুয়ায়ী সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ডিজাইন করা হয় কোমল মতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দাতাদের দানকৃত জায়গার দলিল অনুযায়ী সরকারি অর্থায়নে উন্নয়নের সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশাল প্রোজেক্টে হাত দেয়।পর্যায় ক্রমে সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলার সরকারি প্রাইমারী স্কুলের জন্য বাউন্ডারি করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। অথচ প্রতিটি উপজেলায় কমবেশি বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতা অপব্যবহার করার কারনে। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়,২৮ নং মাগুরা সরকারি প্রাইমারী স্কুলের মোট জায়গা দান করেন প্রয়াত মোঃ মোসলেম আলী বেপারি সহ মোঃ হাশেম গংরা।জমি দাতারা স্কুল প্রতিষ্ঠানের জন্য ৬৯ শতক সম্পত্তি দান করেন তৎকালীন সময়ে। অথচ গেট ব্যাবহার করা ব্যাক্তি মোঃ মোতাহার ক্রয় সূত্রে মালিক হয়। এমনকি আদৌও জমিদাতাও নয়। আর সেই কারণে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন সরকারি প্রাইমারী স্কুলের বাউন্ডারি থেকে গেট তৈরী করে ব্যাবহার করার কারনে। এলাকার স্কুলের জন্য আহমরি শুভাকাঙ্ক্ষীও নয় বিগত সময়ে। কিন্তু বেআইনী ভাবে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে সমগ্র উপজেলার মধ্যে মোঃ মোতাহারের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে এলাকার এক প্রবীণ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতা গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন,আসলেই বিষয়টি আইনের ধারায় পরিচালিত। ব্যাক্তি স্বার্থে কাউকে বাউন্ডারী কর্তন করে গেট দেওয়ার অধিকার কারো নেই। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বেআইনী ভাবে চলাচলের রাস্তা দেওয়া চরম অন্যায়।তিনি আরও বলেন মোঃ মোতাহার ক্রয় সূত্রে মালিক। বিগত সময়ে জমি দাতাও নয়। এ ব্যাপারে কথা হয়২৮ নং মাগুরা সরকারি প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নির্লিপ্ততা রানী খানের সাথে। তিনি অকপটে বলেন, আসলে আইনের মধ্যে গেট দেওয়ার অধিকার কারো নেই।তবে আমি এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারবো না। অবশ্য শেষ সময়ে ঠিকাদার করেছে বলে তিনি কর্কশ ভাষায় বলেন।বেআইনী ভাবে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে প্রাইমারী স্কুলের সভাপতি ও সাবেক সভাপতি মহদয়েররা উভয়ই ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেন গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে। মিডিয়ার সকল প্রশ্নের জবাব সুকৌশলে এড়িয়ে যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাইমারী শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে সকল প্রশ্নের জবাব দিতে অপারগ প্রকাশ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের। তিনিও বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যায়। তবে আইনের ধারায় বিকল্প কোন গেট বা রাস্তা নির্মাণের বিধান নেই। সর্বশেষ তথ্য উদঘাটন করার নিমিত্তে এলাকার সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হয়।স্থানীয় এক কাউন্সিলর গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন,সরকারি প্রাইমারী স্কুলের বাউন্ডারি কর্তন করে গেট করা অন্যায়। তবে মানবিক দিক দিয়ে হয়তো সুযোগ কাজে লাগানো হয়েছে। অবশ্য এলাকার বেশির ভাগ লোকজন সরকারি প্রাইমারী স্কুলের বাউন্ডারি কর্তন করে গেট দেওয়ার পক্ষে নয়।রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে অবৈধ ভাবে গেট ব্যাবহার করে। এ ব্যাপারে কথা হয় মোঃ মোতাহার হোসেনের সাথে। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর পরই সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মিডিয়ার সকল প্রশ্নের জবাব দিতে দারুণ অপারগ প্রকাশ করেন। বহু চেষ্টা করা সত্বেও এক ধরনের চুপ থাকেন বেআইনী ভাবে সুবিধা নেওয়া মোঃ মোতাহার। এলাকার সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবী, প্রাইমারী স্কুলের প্রধান গেইট ব্যাতিত কোন গেইট থাকবে না। আর তারই সঠিক বাস্তবায়ন চায় সমগ্র পৌরবাসীরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com