জেলার আলু ও অন্যান্য সবজি রফতানী হচ্ছে বিদেশে। জমি থেকে আলু ১০ কেজি ও ৫ কেজি ওজনের আলু বিশেষ বস্তায় বন্দি করে পাঠানো হচ্ছে বিদেশে। মৌসুমে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার মেট্রিক টনের বেশি আলু রফতানী ছাড়াও রফতানী হয়েছে মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, গাজর, টমেটো।
বাংলাদেশের আলু ও সবজি বিষ মুক্ত ও মান সম্মত হওয়ায় বিদেশে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।বাঁধা কপির পর এবার বগুড়ার আলু , মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, গাজার টমেটো এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যেতে রফতানী রফতানি হচ্ছে। বিশেষ করে বগুড়া থেকে বিপুল পরিমান আলু রফতানী হচ্ছে। বিদেশে আলু রফতানী চলবে আগামী মে মাস পর্যন্ত।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, রফতানী যোগ্য ফসল চাষে কৃষি বিভাগ সহায়তা দিচ্ছে। মান নিশ্চিত করার উপর জোর দেয়া হচ্ছে। যাতে বগুড়ায় উৎপাদিত পণ্য যেন বিদেশের বাজার না হারায়। দিন দিন যেন রফতানী সম্প্রসারিত হয়। তিনি আরো জানান মঙ্গলবার পর্যন্ত বগুড়ার শিবগঞ্জ, সদর , শেরপুর উপজেলা থেকে ২৫ হাজার২০০ মেট্রিকটন আলু রফতানী করা হয়েছে। এ রফতানী চলমান আছে। আগামী মে মাস পর্যন্ত আলুসহ অন্যান্য সবজি রফতানী কার্যক্রম চলবে। জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সাগর ট্রেডার্স স্বত্তাধিকারী সাগার জানান, তিনি এ পর্যন্ত এ্ উপজেলা থেকে ১১ হাজার ৪০০ মে্িরটক আলু , ৬ টন হাইব্রিট মিষ্টি কুমড়া,২ টন বেগুন, ১ টন গাজর ও ৪ মেট্রিকটন টমেটো রফতানীর জন্য রফতানী কারকের কাছে পাঠিয়েছেন। তারা সবজির মান নিশ্চিত করেই তবে চট্রগ্রামের সমুদ্র বন্দর থেকে জাহাজে ওঠানো হয়।
বগুড়ার শেরপুরের এস এইচ ট্রেডিং এন্ড লজেষ্টিক প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারি মাসুদ রানা জানান, কৃষি কর্মকর্তারা পণ্যের মান যাচাই করে রফতানীর করে থাকেন। তিনি বলেন, তিনি এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাাজার মেট্রিক টন আলু ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা, সৌদি আরব, বাহরাইন, দুবাইয়ে রফতানী হচ্ছে। গত ৬ ধরে জেলার ৫/৬ জন ব্যবসায়ী কৃষি পণ্য বিদেশে রফতানী করছেন। আলুসহ মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, গাজার টমেটোর মান ধরে রাখার সর্বত্মক চেষ্টা করছেন। যাতে অন্য দেশ তাদের বাজার দখল করতে না পারে। বগুড়ার শেরপুরের এ আর ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারি আরিফসহ আরো কয়েকজন আলু রফতানী করছেন করছেন। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, দেশের আলু রফতানী করে আমদানী কারকরা সুনাম কুড়িয়েছেন। কৃষি বিভাগ কৃষকদের সব রকম সহায়তা দিচ্ছে।
কৃষি বিভাগ জানায় দেশের যে আলু রফতানী হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, আলতা,এস্ট্রাটিক্স, এ-৭, সানসাইন সহ নানা জাতের আলু যাচ্ছে এশিয়ার ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে।
বাংলাদেশী এজেন্টরা ক্ষেত থেকে আলু সংগ্রহ করে রফতানী কারকদের কাছে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছেন। সেখান থেকে সুমুদ্র পথ পাড়িদিয়ে চলে যাচ্ছে বিদেশে। কৃষি কর্মকর্তারা মনে করেন বাংলাদেশর কৃষক বাঁধা কপির দাম না পেয়ে ফেলে দিতেন অথবা গরুকে খাওয়াতেন। এখন সেই দিননেই। বাঁধা কপির ব্যাপক চাহিদা আছে বিদেশে । চলতি মৌসুমে প্রচুর পরিমান কপি বিদেশে রফতানী হয়েছে ।এখন যাচ্ছে আলু।এ প্রক্রিয়া চলতে থাকলে দেশের কৃষি পণ্য রফতানী করে প্রচুর বৈদেশিক মদ্রা অর্জন হবে এবং কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে।