ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন উচ্ছেদ, খাদ্য, কাজ ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিন দিন ব্যাপী কেন্দ্রীয় প্লেনাম এর উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্টলীগ এর উদ্যোগে আজ বুধবার বেলা ১১ টায় নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে চত্ত্বরে এই কেন্দ্রীয় প্লেনাম অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নুর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্টলীগ এর সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মন্ডলীর সদস্য কমরেড রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এতে বক্তারা বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। একদিকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন, অপর দিকে চাল, ডাল তেল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি। আজকে বাজার পুরোপুরি সিন্ডিকেট ব্যবসায়িদের নিয়ন্ত্রনে। বক্তারা আরো বলেন, বাজার তদারকি নেই সরকারের। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামক দমন মুলক আইনের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা তথা মত প্রকাশের অদিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তারা বলেন, শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে। যেখানে সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্র ও ভারতের প্রত্য্যক্ষ ভুমিকা ছিল। এর পর ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে হাসিনা সরকার পর পর জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে লুটপাট কেন্দ্রীয় ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনকেই পাকাপোক্ত করেছে। বক্তরা আরো বলেন এদেশে একটি গণতান্ত্রিক নিরপক্ষ সরকার ছাড়া বাংলার জনগণ আর ভোট দিতে পারবে না। তাই ভোটের অধিকার আদায় করতে হলে ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎক্ষাত করার জন্য লড়াই করতে হবে। তারা বলেন, এই সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত না। তাই তারা মানুষের কথা চিন্তা করেনা। এই বাংলাদেশ এখন লুটেরাদের বাংলাদেশ। এই সরকারকে ঘরে আটকে রেখে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য বাম গনতান্ত্রিক জোট গুলোকে একত্রিত করতে হবে। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, কমরেড শামীম ইমাম, কমরেড নজরুল ইসলাম, ওয়াকার্স পার্টি মাক্সবাদী কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ,বরিশাল ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ পার্টি সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক জলিলুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক নিপৃন্দ নাথ বাড়ৈ। এসময় তারা আগামী ২৮ তারিখের হরতাল পালন করার আহবান জানান। প্লেনাম সমাবেশ শেষে নগরীর বিভিন্ন সড়কে এক লাল পতাকার মিছিল বেড় করে সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টাউন হল চত্বরে এসে শেষ করে।