বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সভাপতি শরীফ বায়জীদ মাহমুদ বলেন, বাংলা নববর্ষের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্য। তাই বর্ষবরণের অনুষ্ঠানমালাকে আমাদের ঐতিহ্যের আলোকে সাজাতে হবে, উদযাপন করতে হবে। কিন্তু আজ আমরা সেই ঐতিহ্য ভুলে গেছি। গত ১৪ এপ্রিল ১লা বৈশাখ জাতি অবাক হয়ে তাই প্রত্যক্ষ করলো। গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমি মিলনায়তনে ‘সিয়ামের আবহে বাংলা নববর্ষ’ শিরোনামে এক মনোজ্ঞ আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সভাপতি শরীফ বায়জীদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি নাসির হেলাল। আরো বক্তব্য রাখেন একাডেমির সহ সভাপতি সবুজ চৌধুরী, আবেদুর রহমান, সেক্রেটারি ইবরাহীম বাহারী, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন ভূঁইয়া ও প্রচার সম্পাদক হারুন ইবনে শাহাদাত। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি শহীদ সিরাজী, কবি আমিনুল ইসলাম। একাডেমির শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে কবি মতিউর রহমানের এলো বৈশাখ গানটি পরিবশেন করেন।
প্রধান আলোচক কবি নাসির হেলাল বলেন, বাংলা নববর্ষের সাথে জড়িয়ে আছে মুসলিম শাসনের সোনালি ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বঙ্গাব্দ বা বা সনের ভিত্তি হিজরি বর্ষপঞ্জি। ১৫৫৬ ঈসায়ী সালে মুঘল সম্রাট জালালউদ্দিন মোহাম্মদ আকবর বাংলা সন চালু করেন। বাদশাহ আকবর খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য তাঁর সভাসদ জ্যোতির্বিদ আমির ফতুল্লাহ শিরাজীর সহযোগিতায় ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ বা ১১ মার্চ থেকে ‘তারিখ-এ-এলাহি’ নামে নতুন এক বছর গণনা পদ্ধতি চালু করেন। যা আজ বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।