চকরিয়ার ফাসিয়াখালীতে ইয়াবা কারবার থেকে সন্তানদের রক্ষায় গণস্বাক্ষর অনুষ্টিত হয়েছে। শুক্রবার ১৫ এপ্রিল সকাল এগারটায় ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ছায়রাখালী গ্রামের কয়েকশত নারী পুরুষ গনস্বাক্ষরে অংশগ্রহন করেছেন। খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন হেলালী পৃথক পৃথক বক্তব্যে এলাকাবাসীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। গনস্বাক্ষরের পর স্থানীয় চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন হেলালীর মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগীতা চাইবেন বলে জানান গনস্বাক্ষরের উদ্যোক্তা আব্দুল কাদের সহ অতীষ্ট নারী পুরুষরা। স্থানীয় চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন হেলালী এবং এমইউপি মহিউদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। চেয়ারম্যান হেলাল বলেন, টেকনাফের মিন্টু নামের এক ব্যক্তি ছায়রাখালী গ্রামের কমরুন্নাহার নামের এক নারীকে বিয়ে করে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার কারবার করে আসছে বলে জেনেছি। ইয়াবা কারবারী মিন্টু ও তার স্ত্রী কমরুন্নাহার বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ২০ তারিখ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৪ টায় কমরুন নাহার এবং তার ভাই শফিকুর রহমানের পুত্র জুয়েলকে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন র্যাব এর একটি দল মিন্টুর ছায়রাখালীর বাড়ী ঘেরাও করে ইয়াবা ও নগদ টাকা সহ মিন্টুর স্ত্রী কামরুন্নাহারকে নিয়ে যায়। জেনেছি তিন মাস আগে ফের জামিনে এসে আবারো একই কাজে নেমেছে। গন স্বাক্ষরে অংশগ্রহনকারী এক নারী জানান, মিন্টুর ইয়াবা টেবলেট বহন করে তার কিশোর পুত্র সহ ৪/৫ জন কিশোর ও যুবক এক দেড় বছর করে হাজত বাস করে এসেছে। মিন্টুর প্ররোচনায় আবারো বিপদগামী হয়ে উঠেছে এলাকার যুবক যুবতি ও কিশোররা। আসন্ন বিপদ থেকে নিজেদের শিশু- কিশোর ও যুবকদের রক্ষায় এই গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠান করেছেন তারা। এদিকে চেয়ারম্যান হেলাল আরো বলেন,যতদুর জানি ইয়াবা মিন্টুর কারনে যাদের ছেলে মেয়ে বিপদগামী হয়েছে, বখাটে হয়েছে তারাই গনস্বাক্ষর দিয়ে ইয়াবা কারবারের বিরোদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। অভিযুক্ত মিন্টুর কাছে জানতে চাইলে আটক হওয়ার বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি চকরিয়া সার্ভিস নামক বাসগাড়ীর ড্রাইভার। তার বাড়ী টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নে। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া টেবলেট গুলো অন্য জনের বলে দাবী করেন। চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, মাদকের বিরোদ্ধে পুলিশ সোচ্চার। সঠিক তথ্য পেলে যে কোন মুহুর্তে অভিযান চালাবে পুলিশ।