দেশে দারিদ্র্র্য বিমোচন লক্ষ্যে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাইলট আকারে বাস্তবায়নকৃত মাতৃত্বকালীন ভাতা কেন্দ্রীক ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ মডেল কর্মসূচী প্রাথমিকভাবে একশত উপজেলায় বাস্তবায়নের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে একশ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ দাবি করেছে ‘মা-স্বপ্ন ফাউন্ডেশন’ এর ‘মা সংসদ’ প্লাটফর্ম।
শনিবার (৩০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবির কথা জানিয়েছেন ‘মা সংসদ’ প্লাটফর্ম এর সদস্য নন্দিতা মন্ডল (টঙ্গীপাড়া), ইতি আক্তার (কালীগঞ্জ), ফাতেমা বেগম (লক্ষ্মীপুর সদর), রাজিয়া বেগম (রামগতি), সালমা খাতুন (মজিবনগর), সন্ধ্যা রবি দাস (শ্রীমঙ্গল), মেরিনা বেগম (বদলগাছি), লিপি বেগম (উলীপুর), মিনারা বেগম (দৌলতখাঁন), সাবিনা ইয়াসমিন (চাটখিল), শ্যামলী আক্তার (সিংড়া), রাবেয়া বেগম (কমলনগর)।
বিবৃতিতে ‘মা সংসদ’র সদস্য বৃন্দ বলেন, সরকার থেকে ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ এর স্বাস্থ্য পুষ্টি জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্ড, শিক্ষা ও বিনোদন কার্ড, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনসহ আবাসন, কর্মসংস্থান জীবিকায়ন উপকরণ ও পরিবেশ প্রশিক্ষণ সঞ্চয় আমাদেরকে হস্তান্তর করায় আমরা মালিকানা পেয়েছি। আমরা কেউ এখন আর গরীব নই। আমাদের মর্যানা বেড়েছে। আমাদের পরিকল্পিত পরিবারে পুষ্টিহীন দুটি সন্তানের অধিক নাই, সবাই স্কুলে যায়, বাল্যবিবাহ নাই, জন্মনিবন্ধনহীন নাই। সমাজে ধনী-গরীবের আয় বৈষম্য কমে আসবে, ন্যায্যতা বাড়বে, অধিকার সংরক্ষণ হবে।
আমাদেরমত দরিদ্র্য মায়ের জন্য ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজন শুধু ‘এক মা এক লাখ টাকা’ বাজেট বরাদ্দ। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় স্থাণীয় সরকার পার্টনারশীপে র্ডপ নেটওয়ার্ক’র সহযোগীতায় ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ মডেল একশত উপজেলায় বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে একশ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।
তারা আরও বলেন, ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ প্রাপ্তিতে প্রকৃত মা নির্বাচন, বাছাই শর্ত নিশ্চিত করে মেয়াদকাল ৩ বছরের স্থলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পর্যন্ত ৫ বছর করা ও ভাতার পরিমাণ মাসে ৮শ টাকার স্থলে গার্মেন্টস শ্রমিক মজুরিসম ৮ হাজার টাকা প্রদানের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান এমপিসহ অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপি’র নিকট বাজেট বরাদ্দ দাবী করছি।
এমএস/প্রিন্স/খবরপত্র