এককভাবে আন্দোলন করার সক্ষমতা হারিয়ে বিএনপি এখন অন্যদের দলে টানার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নিজ দলের মধ্যেই যাদের ঐক্য নেই তারা আবার অন্যদের নিয়ে ঐক্য করবে কিভাবে? বিএনপি ও তার সমমানদের মধ্যে ঐক্যের চেয়ে বরং দূরত্বই বেশি দৃশ্যমান। তাই এককভাবে আন্দোলন করার সক্ষমতা হারিয়ে বিএনপি এখন অন্যদের দলে টানার চেষ্টা করছে।’ গতকাল বুধবার সকালে সচিবালয়ে তার দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত নির্বাচনের আগেও বিএনপির ঐক্যের কিম্ভুতকিমাকার চেহারা দেশের মানুষ দেখেছে। ঐক্যের নামে বিএনপি ও তার শরীকদের মধ্যে লেজে গোবরে অবস্থা দেশের মানুষের স্মৃতি থেকে এখনো মুছে যাওয়ার কথা নয়। একঘরে হয়ে বিএনপি আসলে এখন হতাশাগ্রস্ত। ‘দেশে সঙ্কটময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিই এখন গভীর সঙ্কটে আছে। বাংলাদেশ কোনো সঙ্কটে নেই। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন দিশেহারা পথিক। ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতৃত্ব সঙ্কটে ভুগতে থাকা বিএনপি’র সামনে এখন শুধুই মরিচিকা। ‘সরকার তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখেছে’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, সরকার তারেক রহমানকে নির্বাসনে রাখে নাই, বরং সে নিজেই রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে।
বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেটা কি বর্তমান সরকারের আমলে? সেটা ছিলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। তা দেশবাসীসহ সকলেই জানেন। বিএনপিকে হাতের তালু দিয়ে আকাশ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা না করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ অবিরাম মিথ্যাচার শুনতে শুনতে এখন আপনাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ নিয়ে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই। বরং বিএনপি নির্বাচন দাবি করলেও নির্বাচনের মাঠ থেকে শেষ পর্যন্ত সরে যায় কিনা তা নিয়ে দেশের মানুষ শঙ্কায় আছেন, কারণ বিএনপি নির্বাচন ও জনগণকে ভয় পায় তাই তারা গণরায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।