সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাদের সরকার উৎখাতে বিদেশি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করবে পাকিস্তান সরকার। তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নতুন তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব। ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, এমন ব্যক্তিদের নিয়ে নিপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে যাদের বিশ্বাসযোগ্যতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে না। তিনি আরও বলেন, সত্যটা নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে। আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের কথাও বলেন তিনি।
মরিয়ম বলেন, ইমরান খানের অভিযোগ দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি করেছে এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে সত্যটা কী তা খুঁজে বের করা। নতুন তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আরও অভিযোগ করে বলেন, ইমরান খান র্যালি ও সমাবেশ করে তার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খানের দুর্নীতির বিষয়টি ঢাকতে চান।
তিনি আরও বলেন, পিটিআই সরকারের সময় ২০১৮ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৩৪টি ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে, যেগুলোর অধিকাংশই ফারাহ খানের নামে। এই সময়ের মধ্যে এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮৭০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শিগগির নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন। তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পেছনে তিনি দাবি করেন এটি বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মূলত ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অতীতের ধারা অনুসরণ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনও হয়েছে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিয়েছেন ক্ষমতা থেকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার শুনানি হতে পারে। রাজনীতির লড়াইয়ে গ্রেফতারও হতে পারেন পাকিস্তানের এই সাবেক ক্যাপ্টেন। সূত্র: গালফ নিউজ