চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের অংকুরীঘোনা সড়কস্থ চেঙ্খালি স্লুইসগেট ধসে পড়ে নদীর দুই পাশে বিলীন হয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই পার্শ্বে লোক ও যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন হালদা নদীর প্রবল জোয়ারে চেংখালী শাখা খালের দুই পার্শ্বের গড়দুয়ারা ও পূর্ব মেখল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী ও শত শত একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। জানা যায়,গত তিন মাস আগে হঠাৎ স্লুইস গেইট এর মাঝখানের মাঠি ধসে পড়ে। এরপর পর্যয়াক্রমে বেড়িবাঁধের দুপাশে মাটি সরে গেলে বেড়িবাঁধটি দুই পাশে ভেঙ্গে যায়। এতে উপজেলার মেখল ও গড়দুয়ারা ইউনিয়নের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে জনদুর্ভোগে পড়েছে মেখল, গড়দুয়ারা ইউনিয়নের প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। বর্তমানে বাধটি একেবারেই ধসে গিয়ে হালদার জোয়ারের পানি সরাসরি ডুকে পড়ছে এসব এলাকায়। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধসে পড়া স্লুইসগেট টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের সত্তারঘাট হতে উপজেলার গড়দুয়ারা, মেখল ইউনিয়নের লোকজন যাতায়াতের সহজ এই সড়কটি। তাছাড়া স্লুইসগেটটি থাকায় স্থানীয়রা বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছেন। প্রয়োজনমত পানির ব্যবহার করতে পারেন কৃষকরা। জোয়ারের সময় নিম্নাঞ্চলে কখনো পানি উঠা কিংবা জলাবদ্ধতা হয়নি। সড়কটিও হালদা নদীর থাবা থেকে রক্ষা পেয়েছে বারবার। কিন্তু বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেইট ধসের কারণে বিভিন্ন দিক দিয়ে স্থানীয়রা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। সড়কটি তলিয়ে যাওয়ায় দৈনিক পাঁচ হাজার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের চলাচল পুরোদমে বন্ধ হয়ে পড়েছে। পশ্চিম গড়দুয়ারা এলাকার কৃষক ডা.শামসুল হক ও নুর হোসেন জানান, স্লইসগেইট ধসে ও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সহ আমাদের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতার কারণে স্লূইসগেটটি ভেঙে গেছে। দীর্ঘ দিন বেড়িবাঁধের সড়কটি সংস্কার না থাকায় স্লুইসগেট স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে হালদা নদী’র পানির স্রোতে বেড়িবাঁধের নিচে থেকে মাটি সরে যাওয়ায় বেড়িবাঁধটি ধসে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা আরো বলেন বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জোয়ারের পানির কারণে গেট সংলগ্ন একটি নূরানী মাদরাসা চেংখালী খালে যেকোনো সময় বিলিন হয়ে যেতে পারে। এতে করে মাদরাসার প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর পাঠ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্লুইসগেটসহ বেড়িবাঁধটি দ্রুত সংস্কারের প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, ধসে পড়া স্লুইসগেটটি তুলে নেওয়া হবে। এছড়া স্লুইসগেটসহ বেড়িবাঁধটি দ্রুত সংস্কারের জন্য পরির্দশন করে সার্ভেয় করা হয়েছে। সার্ভেয় রির্পোটি মন্ত্রণালয়ে প্রেরন করা হয়েছে। আশা করি চলতি বর্ষার পর স্লুইসগেট ও বেড়িবাঁধটি সংস্কারের কাজ করা হবে। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম জানান, স্লইসগেইট ও সড়কটি ধসে পড়ার বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সংস্কারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত সংস্কার শুরু করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।