সীতাকুণ্ড পৌর এলাকার বিভিন্ন অলি-গলিতে প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন কিংবা নিত্য পন্যের প্লাস্টিক মোড়কে মারাত্মক পরিবেশ বির্পযয় দেখা দিয়েছে। ভেঙ্গে পড়ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, উবর্রতা হারাচ্ছে মাটি, বাতাসে ছড়াচ্ছে বিষ। ভরাট হচ্ছে খালের নি¤œাঞ্চল এবং পরিচ্ছন্নতা হারাচ্ছে সড়ক ও গলিপথ। পৌরসদরস্থ দীঘিগুলোর পাড়ে তাকালে মনে হয় সবাই যেন প্লাস্টিক বর্জ্য কিংবা ময়লা-আবর্জনা ফেলতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। উপজেলা সুপার মার্কেট, ন্যাশনাল মার্কেট এবং আফরোজা প্লাজাসহ তিন মার্কেটের মিলনস্থলে থানা সংলগ্ন দীঘির দক্ষিণ পাড়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ডিটি রোড সংলগ্ন দেওয়ান দীঘির পূর্ব পাড়েও ফেলতে দেখা যায় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মেডিসিন বর্জ্যগুলো। পলিথিনে মোড়ানো ময়লা-আর্বজনার বর্জ্যগুলো পঁচে-গলে উৎকট দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। সর্বনাশা প্লাস্টিক ও পলিথিন অপচনশীল হওয়ায় পরিবেশের উপর দীর্ঘস্থায়ী মারত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। দূষিত হচ্ছে মাটি-পানিসহ সামগ্রিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ। আবাসিক এলাকার গৃহস্থালী বর্জ্য, বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁসহ পৌরসদরস্থ বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর প্লাস্টিক মোড়ানো মেডিসিন বর্জ্য থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধে জনসাধারণের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ছাড়াও মশার প্রজনন আখড়ায় পরিনত হয়েছে। হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর হেপাটাইটিস-বি.সহ মারাত্মক ছোঁয়াছে রোগীদের ব্যবহৃত মেডিসিন সামগ্রি যত্রতত্র নিক্ষেপে পশু-পাখি কিংবা বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে জনস্বাস্থ্য। ধংস হচ্ছে পয়ঃনিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পৌরসদস্থ মাদ্রাসা মার্কেটের ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দীন জানান, বাজারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাস্টবিন থাকা সত্বেও জনসাধারণের একটি অংশ পৌরসদরস্থ দীঘিগুলোর পাড়ে কিংবা যত্রতত্র প্লাস্টিকসহ অন্যান্য বর্জ্যগুলো নিক্ষেপ করছে। তাতে দিন দিন ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে পৌরসদরস্থ দীঘিগুলো। সীতাকু- পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম জানান, পৌর এলাকায় চাহিদা মতো ডাস্টবিন রয়েছে। ডাস্টবিনগুলো থেকে নিয়মিত ময়লা-আর্বজনা অপসারণ করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য জনসাধারণের একটি অংশ নির্দিষ্ট ডাস্টবিনের বাহিরে যত্রতত্র আর্বজনা/বর্জ্য ফেলছে। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আর্বজনা ফেলতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে পৌরবাসীর সহায়তা কামনা করেন তিনি।