‘‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য-একটু সহানুভুতি কি, মানুষ পেতে পারে না’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত সেই রিক্সাচালক তারা মিয়া পত্রিকা হকার ও এক দরিদ্র স্কুল শিক্ষার্থীকে সাইকেল বিতরণ করেছেন। রোববার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক ও সুধীজনের উপস্থিতিতে এ সাইকেল বিতরণ করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম রফিক, সহ:সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাহাদাত হোসেন কাজল, সাবেক সভাপতি মো. মোহন মিয়া, নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সাংবাদিক সুমন রায়, আল নোমান শান্ত সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন। পত্রিকা হকার সুজিত সরকার বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে পুরোনো সাইকেল চালিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে পত্রিকা বিক্রি করে আসছি। ছেলে মেধাবী হওয়া সত্বেও স্কুলে যাওয়ার জন্য রিক্সাভাড়া দিতে পারি না। আমি তারা মিয়া ভাইকে সাইকেল কিনে দেয়ার কথা কিছু বলিনি। তিনিই গত পরশু আমাকে ও আমার ছেলে নীরব সরকার কে সাইকেল উপহার দিবেন বলে জানায়। আমি গরীব মানুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুষ আমি আর কি বলবো, সামাজে তো কত বিত্তবান ছিলো, কারো চোখেই তো পড়েনি আমার ভাঙ্গা সাইকেল টা। আমার কাছে তারা মিয়া ভগবানে মতো। আমি তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। রিক্সা চালক তারা মিয়া বলেন, দীর্ঘ সাত বছর যাবত রিকশা চালানোর উপার্জন থেকে প্রতি মাসেই কিছু কিছু টাকা জমিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয় সহ গ্রামের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করছি। দীর্ঘদিন ধরে পত্রিকা হকার সুজিত সরকার পুরোনো সাইকেল নিয়ে পত্রিকা বিক্রি করে আসছে, এবার তাকে একটি সাইকেল ও ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক মেধাবী শিক্ষাথী নীরব সরকার কে একটি সাইকেল কিনে দিয়েছি। ছোটবেলায় টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারেননি বিধায় প্রতি মাসেই দরিদ্র শিক্ষার্থীদের এভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এ ধরনের সহায়তা করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। উল্লেখ্য : রিক্সাচালক তারামিয়া বিগত ৭বছর ধরে রিক্সা চালানোর আয় থেকে উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসার এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ সহ খেলাধুলার সরঞ্জাম বিতরণ করে আসছেন প্রতিনিয়ত। এছাড়া বিগত করোনা কালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন।