অতিবর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলছে। এতে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। যেভাবে পানি বাড়ছে, এতে বন্যার আশঙ্কা করছেন শহর ও নদী পাড়ের মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ছয় সেন্টিমিটার বেড়েছে। এখনও বিপৎসীমার ১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী অঞ্চল কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। জেলার চৌহালী, শাহজাদপুর, কাজীপুর ও এনায়েতপুরে ভাঙনের তীব্রতা বেশি। এতে বন্যার আশঙ্কা করছে শহরবাসী। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধসহ সব এলাকাতেই যমুনা নদীর পানি বাড়লেও এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।আরও দুই দিন পানি বাড়তে পারে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যমুনার পানি প্রবাহিত হবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। কিছু স্থানে নদী ভাঙন রয়েছে। তবে ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভাঙন রোধে ৩০ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া ৯৬ হাজার জিও ব্যাগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।’