’গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। যে সাতটি দলের সমন্বয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ হতে যাচ্ছে সেসব দল হচ্ছে- জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন। খুব শিগগির ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র আত্মপ্রকাশ ঘটবে বলে জানা গেছে। গত রোববার (২৯ মে) গণঅধিকার পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
‘গণতন্ত্র মঞ্চ’কে কেন্দ্র করে এদিন উল্লেখিত সাতটি দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসভবনে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আ স ম রবের সভাপতিত্বে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সাত দলের এই যৌথ রাজনৈতিক উদ্যোগকে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ হিসেবে আত্মপ্রকাশের লক্ষে একমত পোষণ করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যথাসম্ভব স্বল্পতম সময়ে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির ভিত্তিতে এই গণতন্ত্র মঞ্চ আত্মপ্রকাশ করবে। একই সঙ্গে বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন’ মোকাবিলায় গণতন্ত্র মঞ্চের রাজনৈতিক ভিত্তি ও কর্মসূচিসমূহ চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় নেওয়া এক প্রস্তাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকা- উল্লেখ করে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। ছাত্রলীগের কর্মকা- দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে বিপন্ন করছে বলে উল্লেখ করা হয়। সভায় বলা হয়, সরকারি ছাত্র সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডারদের সচিত্র ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও আজ পর্যন্ত তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং যারা আক্রান্ত ও আহত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। প্রস্তাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকারও নিন্দা জানানো হয়।
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়। সভায় জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য বহ্নি শিখা জামালী, আকবর খান, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল উপস্থিত ছিলেন।