বিরামপুর উপজেলা শহরের বিভিন্ন মোড় ও গ্রামাঞ্চলের হাট বাজার গুলোতে সুস্বাদু তাল শাঁস বিক্রির দুম পড়েছে। মৌসুমি বিক্রেতারা বিভিন্ন এলাকার গাছ থেকে অপরিপক্ক (কচি) তাল নিয়ে এসে তাল শাঁস বিক্রির পসরা দিয়ে বসেছে। আর জৈষ্ঠ্যের গরমে অস্থির ক্রেতারা তাল শাঁস খেয়ে স্বস্তির পাওয়ার চেষ্টা করছেন। শহরের জনতা ব্যাংক মোড়ের তাল শাঁস বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, তিনি তিলকপুর এলাকা থেকে অপরিপক্ক তাল নিয়ে এসেছেন। সেই তাল থেকে শাঁস বের করে প্রতিটি শাঁস ৭/৮ টাকা বিক্রি করছেন। গত বছর ৪/৫ টাকা দরে বিক্রি করলেও এবার তালের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে শাঁস বিক্রি করছেন। সুস্বাদু এই তাল শাঁসের চাহিদার কারণে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এবং গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারে এখন তাল শাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে। এতে মৌসুমি বিক্রেতারা বাড়তি আয় করছেন এবং ক্রেতারাও স্বস্তিতে স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার রায় জানান, গরমের দিনে তাল শাঁস পানি শূণ্যতা দূর করে। এতে বিভিন্ন ধরণের উপকারী ভিটামিন রয়েছে। তাল শাঁস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।