বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

জনস্বার্থে সরকারের যেকোন সিদ্ধান্ত মানবেন চাল ব্যবসায়ীরা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

সরকারের সিদ্ধান্ত জনস্বার্থে হলে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়ীরা। তারা জানান,আমরা প্যাকেটজাত চালও বিক্রি করি না, সে বিষয়েও আমাদের কিছু বলার নেই। তবে চালের বাজার এখন আর আমাদের হাতে নেই। কাদের হাতে তা সরকার ভালো জানে। উল্লেখ্য, বাজারে কোনও প্যাকেটজাত চাল বিক্রি করা যাবে না এমন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। দেশের বাজারে কোনও প্যাকেটজাত চাল বিক্রি করা যাবে নাÍএমন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। সম্প্রতি সচিবালয়ে নিজ দফতরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, যারা চালের ব্যবসা করেন, তারা দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল কিনতে পারবেন না। নতুন আইনে এ বিধানটা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত সোমবার দেওয়া নির্দেশনার পর এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অতি দ্রুত এ আইন করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা প্যাকেটে চাল বিক্রি করবে, তারা দেশের বাজার থেকে যাতে চাল কিনতে না পারে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তাদের নিজেদের মিল থাকলে সেখানে প্যাকেটজাত করতে পারবে। সরকারের বেঁধে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে বেশি চাল যাদের গুদামে পাওয়া যাবে, সেগুলো অবৈধ চাল হবে। সেগুলো সিলগালা করা হবে।’ সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেও বাজার মনিটর করছেন। যারা মজুত করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের কেউ হলেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ তিনি জানান, আকিজ, সিটি, এসিআই, স্কয়ার, বসুন্ধরা, প্রাণ-সহ ৬টি গ্রুপের চালের মজুত পাওয়া গেছে। স্কুলের শিক্ষকদের কাছেও চালের মজুত পাওয়া গেছে। আমি কোনও চালের ব্যবসা করি না, এটা স্পষ্ট।’ মজুতদারেরা আওয়ামী লীগের লোক কিনা এমন প্রশ্ন উঠলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কোনও দল হতে পারে না। মজুতদাররাই আলাদা একটা দল।’ তিনি বলেন, ‘দেশে চালের কোনও সংকট হবে না। যদি হয় তাহলে আমদানি করতে হতে পারে।’ খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভরা মৌসুমে চালের সরবরাহে কোনও ঘাটতি নেই, কিন্তু কেন চালের দাম বাড়ছে? এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি। এটা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল। কিছু ব্যবসায়ী যে এটা করছে, সেটিও প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।’
দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের যেকোনও সিদ্ধান্ত জনস্বার্থেই হবে বলে মনে করেন দেশের চাল ব্যবসায়ীরা। জনস্বার্থে নেওয়া এসব সিদ্ধান্তে তাদের কোনও আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন তারা। ভরা এই মৌসুমে দেশের চালের দাম বৃদ্ধির এই নজির ইতিহাসে বিরল বলেও মনে করেন চাল ব্যবসায়ীরা। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেওয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে এসব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন চাল ব্যবসায়ীরা।
বাদামতলী-বাবুবাজার চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, ভরা মৌসুমে এভাবে চালের দাম বাড়ার কোনও কারণ থাকতে পারে না। অতীতে এভাবে দাম বৃদ্ধিরও কোন নজিরও নেই, যা এ বছর হলো। তিনি জানান, সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে এ জন্য কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী।
নিজাম উদ্দিন বলেন, সমস্যার গোড়ায় হাত দেওয়া প্রয়োজন। আমরা ছোট ব্যবসায়ী। আমাদের আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সমীচীন হচ্ছে না। আমরা ধান মজুত করি না। ব্যবসার প্রয়োজনে যেটুকু চাল দোকানে রাখা প্রয়োজন সেটুকুই রাখি। আমাদের মজুত করা চাল বাজারে কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।
অপরদিকে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী জানিয়েছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত জনস্বার্থে হলে আমাদের আপত্তি নেই। আমরা প্যাকেটজাত চালও বিক্রি করি না, সে বিষয়েও আমাদের কিছু বলার নেই। তবে চালের বাজার এখন আর আমাদের হাতে নেই। কাদের হাতে তা সরকার ভালো জানে। উল্লেখ্য, বাজারে কোনও প্যাকেটজাত চাল বিক্রি করা যাবে না এমন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। মঙ্গলবার (১ জুন) সচিবালয়ে নিজ দফতরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, যারা প্যাকেটজাত চালের ব্যবসা করেন, তারা দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল কিনতে পারবেন না। নতুন আইনে এ বিধানটা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত সোমবার দেওয়া নির্দেশনার পর এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত এ আইন করা হবে বলেও মন্ত্রী জানান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com