বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জে ভাসমান সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা চৌদ্দগ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ কালিয়ায় কন্যা শিশু দিবস পালিত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন তারাকান্দায় ১০ গ্রেডে উন্নীতের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি কালীগঞ্জে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মানববন্ধন : মিশ্র প্রতিক্রিয়া ডিমলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মিলন সম্পাদক পাভেল কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘর মানিকগঞ্জে সাড়ে ৪লাখ ছাগলের বিনামূল্যে টিকাদান কর্মসূচী শুরু আন্দোলনে নিহত নয়নকে বীরের মর্যাদা দেয়া হবে-দুলু

ফলের বাজারে ‘সৌরভ’ ছড়াচ্ছে আম

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

জ্যৈষ্ঠের ভরা মৌসুমে ফলের বাজারে ‘সৌরভ’ ছড়াচ্ছে আম। বাজারে এগিয়ে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি জাতের আম। রয়েছে মধুমাসের অন্য ফল কাঁঠাল, লিচু, জাম, আনারস, জামরুল ইত্যাদি। তবে সরবরাহ ভালো থাকলেও আমের দাম একটু বেশি বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। বাজারে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় এরপই রয়েছে লিচু। যদিও লিচুর মৌসুম শেষ দিকে হওয়ায় সরবরাহ কিছুটা কম। যে কারণে বেড়েছে লিচুর দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে একশ লিচু ৫০-১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দিনাজপুরের একশ লিচু এখন ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মধুমাসের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। এখন পর্যন্ত বাজারে আসা কাঁঠালের অধিকাংশ সরবরাহ হচ্ছে গাজীপুরের কাপাসিয়া, টাঙ্গাইলের রাজেন্দ্রপুর, নরসিংদী ও রাঙামাটি থেকে। আকার অনুসারে যা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। দেশীয় অন্যান্য ফলের মধ্যে জাম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২৫০ টাকা, জামরুল ৮০-১২০ টাকা কেজি ও ঢেউয়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও মধুবাগ এলাকার আশপাশে বিক্রি হওয়ার ফলের স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। রামপুরা বাজারের ফল বিক্রেতা বাচ্চু মিয়া বলেন, বাজারে এখন অধিকাংশই রাজশাহীর আম। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে হিমসাগর। এরপর ল্যাংড়া ও আম্রপালি। গাড়িভাড়া ও অন্যান্য খরচ বিবেচনা করলে আমাদেরই ৯৫-১০০ টাকা কেনা পড়ে যায়। ফলে ১০০ টাকার নিচে বিক্রি করা অসম্ভব। অন্যদিকে কাঁঠালের সরবরাহ ও বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, হিমসাগর কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়, ল্যাংড়া আকারভেদে ১১০-১৩০ এবং আম্রপালি ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কাঁচা মিঠা আম বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়।
দেশীয় অন্যান্য ফলেরও ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করি দেশীয় ফল রাখতে। যার মধ্যে জামরুল, জাম ও নতুন আসা ডেউয়ার কথা বলতে পারেন। এদের মধ্যে জাম বেশি চলে। এছাড়া রয়েছে ড্রাগন ফল।
বাজারে আসা ক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত লিচু বেশি কেনা হয়েছে। কারণ বাচ্চারা লিচু সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে। বাসার বয়স্ক মানুষ আম বেশি পছন্দ করছে। তবে দাম এখনও নিন্মবিত্তের বাইরে। গত ২৩ মে ফুল, ফল, প্রসাধনী ও আসবাবপণ্য আমদানিতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনিবআর)। আপেল, আঙুর, লেবুজাতীয় ফল, কলা, ডুমুর, আনারস, পেয়ারা, আম, অ্যাভোকাডো, তরমুজ, নানা জাতের বাদাম আমদানিতেও ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। ফলে বিদেশি ফলের দাম কিছু বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা কম কিনছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com