রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। আজ ৫ জুন ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২’ উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২’ আয়োজনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, বন-বনানী ঘেরা, সবুজ শ্যামল আমাদের এ দেশ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খাদ্য, জ্বালানি, বাসস্থান, আসবাবপত্রের চাহিদা পূরণ এবং নগরায়ণ ও শিল্পায়নের কারণে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও বনাঞ্চলের পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, ভূমির ক্ষয়রোধ, মরুময়তা হ্রাস, কার্বন আধার সৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সর্বোপরি টেকসই উন্নয়নে বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। সরকার দেশব্যাপী ব্যাপক বনায়ন কার্যক্রম গ্রহণের ফলে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বনায়ন কার্যক্রমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের ফলে সরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় তাদের কার্যকর ভূমিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা তাদের ক্ষমতায়নসহ টেকসই উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী অবদান রাখবে। এই প্রেক্ষাপটে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২’ এর প্রতিপাদ্য ‘বৃক্ষপ্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বৃক্ষরোপণ অভিযানকে সফল ও টেকসই রূপ দিতে হলে জনগণকে দেশের আবহাওয়া ও মাটির উপযোগী বনজ, ফলজ ও ঔষধী বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি রোপণকৃত বৃক্ষের পরিচর্যার জন্যও যথাযথ পরামর্শ প্রদান ও সমম্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এবছর বৃক্ষরোপণে অবদান রাখার জন্য ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার, ২০১৯ ও ২০২০’ এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০২০ ও ২০২১’ প্রাপ্তদের তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রপতি জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২এর সাফল্য কামনা করেন।